করোনাভাইরাসের কারণে সময় মতো বই না পাওয়ার শঙ্কা কাটিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে নতুন বইয়ের গন্ধে মাতোয়ারা রংপুরের বিভাগের প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
শুক্রবার সকাল ৯ টায় এ বিভাগের আট জেলার প্রতিটি স্কুলে শুরু হয়েছে বই বিতরণ উৎসব। করোনার কারণে এবারের উৎসব কিছুটা ম্লান হলেও স্বাস্থ্য বিধি মেনে যারা বই নিতে এসেছেন তাদের মধ্যে ছিল আনন্দের ঢেউ। বই পেয়ে মাঠেই পড়তে বসেছেন কেউ কেউ। শঙ্কার পরেও যথাসময়ে বই পাওয়ায় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানানোর পাশাপাশি ভালো পড়ালেখার প্রতিশ্রুতি শিক্ষার্থীদের।
নবম শ্রেণির ছাত্রী শেখ তাসলিমা নিশাত জানালেন, বই পাবো সেই টেনশনে রাতেই ঘুমই হয় নি। বাড়িতে নিয়ে গিয়ে বই পড়া শুরু করবো। আশাকারি বই নিয়ে খুব দ্রুত আবার আগের মতো স্কুলে ফিরতে পারবো। বই পাওয়ায় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন এই ক্ষুদে শিক্ষার্থী।
এবার এই বিভাগে প্রাথমিক পর্যায়ে আগামী ১২ দিনে ৩০ লাখ ৪৩ হাজার ৯১২ জন শিক্ষার্থীর মাঝে ১ কোটি ২৭ লাখ ৭ হাজার ৩৮৮ টি বই দেয়ার জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
রংপুর বিভাগীয় কমিশনার পীরগঞ্জে বই বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। এছাড়াও সকাল থেকে রংপুর মহানগরীর বিভিন্ন স্কুলে বিতরণ কার্যক্রম পরিদর্শন করেন রংপুরের ডিসি আসিব আহসান। এসময় তার সাথে ছিলেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শাহজাহান সিদ্দিকসহ অন্যনারা।
রংপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফরিদা ইয়াসমিন জানান, প্রথমে আমরা একটু শঙ্কিত ছিলাম। কিভাবে বই বিতরণ করবো প্রতিকূল পরিবেশে। কিন্তু পরে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মোতাবেক আমরা প্রথম দিন থেকেই বই বিতরণ শুরু করেছি স্বাস্থ্য বিধি মেনে। আমার ২ হাজার ছাত্রী। তাদের ধাপে ধাপে আমরা ডেকেছি। আগামী ১২ দিন পর্যন্ত দুই শিফটে আমরা বই বিতরণ করবো। যেহেতু তৃতীয় শ্রেনির ভর্তি কার্যক্রম স্থগিত আছে সে কারণে চতুর্থ শ্রেনি থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত বই বিতরণ করছি আমরা। আগের মতো উৎসব না থাকলেও বাচ্চারা বই পেয়েই উচ্ছসিত হয়ে যাচ্ছে।
রংপুর বিভাগীয় কমিশনার আব্দুল ওয়াহাব বলেছেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে বই বিতরণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। সুষ্ঠুভাবে আগামী ১২ দিনে আমরা এই বিতরণ কার্যক্রম পরিচালনা করবো।
এমজে/