বিভিন্ন চিনিকলে আখমাড়াই বন্ধের প্রতিবাদ, চাকরিরত ও অবসরপ্রাপ্ত শ্রমিক-কর্মচারীদের পাওনা এবং আখচাষিদের পাওনা পরিশোধের দাবিতে আজ শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করেছেন শ্রমিক-কর্মচারীদের সন্তানেরা।
ফরিদপুর চিনিকল পরিবার এই কর্মসূচির আয়োজন করে। কর্মসূচিতে শতাধিক চিনিকলের শ্রমিক-কর্মচারীদের সন্তানেরা অংশগ্রহণ করেন।
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রযোজক পরিবেশক সমিতির সভাপতি খোরশেদ আলম কর্মসূচি সঞ্চালনা করেন। তিনি বলেন, স্বাধীনতার পরে চিনিকলগুলো বাংলাদেশের একমাত্র ভারী শিল্প। এ বছর কয়েকটি চিনিকলে আখমাড়াই মৌসুম থেকে বন্ধ রাখা হয়েছে। কলগুলোর শ্রমিক-কর্মচারীরা পাঁচ মাস ধরে বেতন পাচ্ছেন না। পাঁচ লাখ মানুষের জীবিকা এখানে জড়িত।
আয়োজনের অন্যতম সমন্বয়ক হুমায়ুন চাকলাদার বলেন, আমদানি করা চিনিতে যে পরিমাণ রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়, ব্যবহারকারী ও তাঁদের সন্তানেরা আগামী ৩০ বছরের মধ্যে প্রতিবন্ধী হয়ে যাবে। অথচ আমাদের দেশীয় রাসায়নিকমুক্ত চিনি কারখানায় পড়ে থাকে।
চিনিকলের সাবেক এক সহকারী প্রকৌশলীর মেয়ে আতিয়া সিদ্দিকা বলেন, ‘আমাদের শৈশব ছিল চিনি পরিবার থেকে, বড় হয়েছি ফরিদপুর চিনিকল এলাকায়। আমরা সবাই মিলে ছিলাম একটি পরিবার। যেখানে ছিল গোয়াল ভরা গরু, পুকুর ভরা মাছ, মাঠ ভরা ফসল। আমরা এত সুন্দর একটা রঙিন শৈশব পেয়েছিলাম, যেটাকে খুব মিস করি। এটা নিয়ে আমরা গর্ববোধ করি।’
ফরিদপুর চিনিকল শ্রমজীবী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক কাজল বসু বলেন, সেখানে ৫ মাস ধরে কর্মকর্তা, কর্মচারী, শ্রমিক কেউ বেতন পাননি। অবসরে যাওয়াদের গ্র্যাচুইটি বন্ধ। চিনিকলের কাজ চলছে। তবে উত্তরবঙ্গে ৬টি চিনিকলে আখমাড়াই বন্ধ। এসব চিনিকলের আওতায় থাকা আখের অন্য চিনিকলে মাড়াই চলছে।
