৯ বছরেও জোটেনি ডিগ্রি, চাকরি কবে?

৯ বছরেও জোটেনি ডিগ্রি, চাকরি কবে?

বছরজুড়েই আলোচনায় থাকে রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়। একাধারে দীর্ঘদিন ধরে ভিসির অনুপস্থিতি, শিক্ষকদের অভ্যন্তরীণ কোন্দল, কর্মকর্তা-কর্মচারি আন্দোলন, নিয়োগ বাণিজ্যসহ নানা অনিয়ম-দুর্নীতির খবর সংবাদ মাধ্যমে জায়গা করে নেয়। শিক্ষা-গবেষণার চেয়ে এসব সামাল দিতেই ব্যতিব্যস্ত বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এই যখন অবস্থা, তখন ক্লাস-পরীক্ষা হবে কিভাবে? তাইতো দীর্ঘ সেশনজটে পড়েছেন শিক্ষার্থীরা। কোনও কোনও বিভাগে একই ব্যাচ রয়েছে ৯ বছর ধরে। কবে তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাজীবন শেষ হবে তা ভাগ্যবিধাতাই বলতে পারেন। চাকরির আবেদনের যোগ্যতা-ই বা কবে অর্জিত হবে? নাকি শিক্ষাজীবনের সঙ্গে সঙ্গে শেষ হয়ে যাবে চাকরির বয়সও?

এই অবস্থায় আন্দোলনে নেমেছে শিক্ষার্থীরা। রাতভর কনকনে শীতেও বিভাগের সামনে অবস্থান নিয়ে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন তারা।

মাস্টার্স প্রথম সেমিস্টারের ফল প্রকাশ করে পরবর্তী সেমিস্টারের ফাইনাল পরীক্ষা আয়োজনসহ ৮ দফা দাবিতে তাদের এ অবস্থান কর্মসূচি।

সূত্র জানায়, এসব দাবিতে সোমবার দুপুরে ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের কবি হেয়াত মামুদ ভবনে তালা ঝুলিয়ে দেয়। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি অব্যাহত রাখার ঘোষণাও দিয়েছে তারা। সোমবার রাত থেকে আজ সকাল পর্যন্ত কনকনে শীতে খোলা আকাশের নিচে কেটেছে তাদের সময়।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ২০১২ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির পর ৯ বছরেও শিক্ষাজীবন শেষ না হওয়ায় হতাশ তারা। শিক্ষকদের গ্রুপিং, রেষারেষি এবং অন্তঃকোন্দলের কারণে চার বছর সেশনজটে থাকায় চাকরির বয়স প্রায়ই শেষের পথে। গত সোমবার বেশকিছু দাবি নিয়ে প্রশাসন ভবনে তালা দিয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করলে ৭ দিনের মধ্যে ফল প্রকাশের আশ্বাসে সাময়িকভাবে কর্মসূচি স্থগিত হয়। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের পরও দাবি পূরণ না হওয়ায় আবারও আন্দোলনে নেমেছেন তারা।

এদিকে, শিক্ষার্থীরা মধ্যরাতে কনকনে শীতে আন্দোলন অব্যাহত রাখলেও রাত ১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আতিউর রহমান, ছাত্র উপদেষ্টা নূর আলম সিদ্দিক এলেও কিছুক্ষণ পর তারা চলে যান।

এ প্রসঙ্গে ছাত্র উপদেষ্টা নূর আলম সিদ্দিক বলেন, আমরা চেষ্টা করছি তাদের ফল প্রকাশ করে দ্রুত সমস্যা সমাধান করার। তবে দুপুর থেকে চলমান আন্দোলনে ইংরেজি বিভাগের কোনো শিক্ষককেই দেখা যায়নি।

এমজে/