কুড়িগ্রামের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। বৃহস্পতিবার সকালে জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এদিকে জেলায় শীতের কারণে দুর্ভোগে রয়েছেন বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ। এ সময় কর্মজীবী ও দিনমজুররা শীতকে উপেক্ষা করে কাজে বের হচ্ছেন। টানা শৈত্যপ্রবাহে শীতজনিত নানা রোগে ভুগছেন মানুষ। হাসপাতালগুলোতে বেড়েছে রোগীর আধিক্য।
তীব্র শীতে হতদরিদ্র ও নদীতীরবর্তী মানুষ প্রয়োজনীয় গরম কাপড়ের অভাবে রয়েছেন চরম বিপাকে। অনেকেই খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আবদুল হাই সরকার জানান, সরকারিভাবে শীতার্তদের জন্য ৫৭ হাজার শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক মঞ্জুরুল হক জানান, চলতি বছর জেলায় এক লাখ ১২ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে ৬০ হাজার হেক্টর জমিতে হাইব্রিড বীজধান লাগানো হচ্ছে বলে তিনি জানান।
শীতের কারণে রোপণ কিছুটা বিঘ্নিত হলেও সেটি সমস্যা হবে না।
কুড়িগ্রামের রাজারহাট আবহাওয়া ও কৃষি পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার জানান, উত্তরাঞ্চলের ওপর দিয়ে বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ।
বৃহস্পতিবার সকাল ৬টায় জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এমজে/
