নির্মাণের কয়েক ঘণ্টা পর ভেঙে পড়ে উপহারের ঘর, তদন্তে জেলা প্রশাসন

নির্মাণের কয়েক ঘণ্টা পর ভেঙে পড়ে উপহারের ঘর, তদন্তে জেলা প্রশাসন

বরগুনার তালতলীতে হস্তান্তরের ১২ দিনের মধ্যেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহারের ঘর ধসে পড়ার ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে জেলা প্রশাসন।

গত ২৩ জানুয়ারি ভিডিও কনফারেন্সের (ভার্চ্যুয়াল) মাধ্যমে এই প্রকল্প উদ্বোধন করেন শেখ হাসিনা। এর মধ্যে উর্মিলা রাণী নামে এক বৃদ্ধার পাওয়া ঘরটি হস্তান্তরের পর দু’বার ধসে পড়ে! দ্বিতীয় দফায় ০৩ ফেব্রুয়ারি সকালে দেয়াল ভেঙে পড়লে অল্পের জন্য বেঁচে যান ৭১ বছর বয়সী উর্মিলা।

ওই ঘরগুলো নির্মাণে কোনো অনিয়ম হয়েছে কি-না তা খতিয়ে দেখতে গতকাল সোমবার (০৮ ফেব্রুয়ারি) দিনভর ঘটনাস্থলে ছিলেন বরগুনার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) জালাল উদ্দিন। প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্প-২-এর আওতায় তালতলীর সাতটি ইউনিয়নে ১৭ কোটি ১ লাখ টাকা ব্যায়ে ১০০টি ঘর নির্মাণ করা হয়।

‘নির্মাণের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ভেঙে পড়লো উপহারের ঘর!' শিরোনামে গত ০৬ ফেব্রুয়ারি একটি বেসরকারি অনলাইন পত্রিকায় এ প্রতিবেদন প্রকাশ করলে নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। তড়িঘড়ি করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আসাদুজ্জামান ফের ওই ঘরের দেয়াল নির্মাণের কাজ শুরু করেন। এরপর জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঘটনার তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক জালাল উদ্দিনকে।

তিনি জানান, সোমবার তালতলীর প্রকল্প এলাকার ঘরগুলো তিনি ঘুরে দেখেছেন। কথা বলেছেন উর্মিলা রাণী, স্থানীয় লোকজন ও নির্মাণ শ্রমিকদের সঙ্গে।

প্রশাসনের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জালাল উদ্দিন গণমাধ্যমকে বলেন, আমি সরেজমিনে তদন্ত করেছি। দুয়েক দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জেলা প্রশাসকের কাছে দেওয়া হবে।

এই প্রকল্পের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন ইউএনও মো. আসাদুজ্জামান। কাজের তদারকির দায়িত্ব ছিল তালতলী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা রুনু বেগমের।

উর্মিলা রাণীর ঘর ধসে পড়ার পর এগুলোর নির্মাণকাজে অনিয়মের অভিযোগ ওঠে, যার সত্যতা পাওয়া যায়।

এমজে/