পদ্মায় স্পিডবোট দুর্ঘটনায় ২৬ জন নিহতের মামলায় প্রধান আসামি গ্রেপ্তার

পদ্মায় স্পিডবোট দুর্ঘটনায় ২৬ জন নিহতের মামলায় প্রধান আসামি গ্রেপ্তার

মাদারীপুরের শিবচর উপজেলায় বাংলাবাজার ঘাটসংলগ্ন কাঁঠালবাড়ী ঘাটে পদ্মা নদীতে স্পিডবোট দুর্ঘটনার প্রধান আসামি শাহ আলম মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে নৌ-পুলিশ। দুর্ঘটনার পর থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন শাহ আলম। গতকাল রোববার বিকেলে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দিলে নৌ-পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে।

নৌ-পুলিশের কাঠালবাড়ী ঘাটের পরিদর্শক আব্দুর রাজ্জাক জানিয়েছেন, গত ৩ মে সকালে ঘাটে নোঙর করে রাখা বালুবোঝাই বাল্কহেডের সঙ্গে শিমুলিয়া থেকে আসা একটি দ্রুতগতির স্পিডবোটের সংঘর্ষ হয়। এতে স্পিডবোটটি ডুবে যায় এবং পরে ২৬ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় নৌ-পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) লোকমান হোসেন বাদী হয়ে শিবচর থানায় স্পিডবোটের চালক শাহ আলম, দুই মালিক চান্দু মিয়া ও রেজাউল এবং ঘাটের ইজারাদার শাহ আলম খানের নামসহ অজ্ঞাত একাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা করেন।

আব্দুর রাজ্জাক আরও জানান, দুর্ঘটনার পর থেকে স্পিডবোট চালক শাহ আলম গুরুতর আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। গতকাল রোববার বিকেলে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দিলে নৌপুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে। রাত ৮টার দিকে শাহ আলমকে শিবচর থানায় হস্তান্তর করা হয়। আজ সোমবার তাঁকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হবে।

এর আগে ওই স্পিডবোটের মালিক চান্দুকে মিয়াকে ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব। মামলার পর এখন পর্যন্ত দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

আব্দুর রাজ্জাক আরও জানান, দুর্ঘটনার পর চালক মো. শাহ আলমকে গুরুতর অবস্থায় শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। প্রশাসনের নির্দেশে ওই চালকের ডোপ টেস্টের নমুনা সংগ্রহ করে রাখা হয়। পরে তাঁর ডোপ টেস্টের রিপোর্ট পজিটিভ আসে।

এই ঘটনার পর জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। পরে তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, চালক মাদকাসক্ত হওয়ায় পদ্মায় স্পিডবোট দুর্ঘটনায় ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।