জুম মিটিংয়ের পর ডেসটিনির রফিকুল জেলে

জুম মিটিংয়ের পর ডেসটিনির রফিকুল জেলে

ডেসটিনি ২০০০ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রফিকুল আমীনকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) থেকে ঢাকার অদূরে কেরানীগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে নেওয়া হয়েছে।

শনিবার বিকালে বিএসএমএমইউ ছাড়পত্র দেওয়ার পর সেখান থেকে তাকে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।

‘অসুস্থতার কথা বলে’ প্রায় তিন মাস ধরে বিএসএমএমইউ হাসপাতালের প্রিজন সেলে ছিলেন ডেসটিনির এই এমডি।

ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জ্যেষ্ঠ কারা তত্ত্বাবধায়ক সুভাষ কুমার ঘোষ গণমাধ্যমকে বলেন- হৃদযন্ত্র, কিডনি, অর্থোপেডিক্স ও ডায়াবেটিসের সমস্যার কথা জানিয়ে গত ১১ এপ্রিল রফিকুল আমীন বিএসএমএমইউতে ভর্তি হন।

কারাগার সূত্রে জানা গেছে, রফিকুল আমীনকে বহনকারী গাড়ি শনিবার (৩ জুলাই) বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পৌঁছায়। এখন সেখানে তাকে ১৪ দিন কোয়ারেন্টিনে রাখা হবে।

কারা সূত্র জানায়, প্রায় দুই মাস আগে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার কথা বললে রফিকুল আমীনকে কেরানীগঞ্জ ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে বিএসএমএমইউতে ভর্তি করা হয়। বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর প্রকাশ হয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রিজন সেলে বসেই রফিকুল আমীন জুমে ব্যবসায়িক বৈঠক করছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এর ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। এরপরই রফিকুল আমীন এই জুম বৈঠক কীভাবে করলেন, তা খতিয়ে দেখতে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে কারা অধিদপ্তর। ঢাকা বিভাগের কারা উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি-প্রিজনস) তৌহিদুল ইসলামকে প্রধান করে গঠিত এই কমিটিকে সাত দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

গেল শুক্রবার (২ জুলাই) বিকালে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জ্যেষ্ঠ কারা তত্ত্বাবধায়ক সুভাষ কুমার ঘোষ যুগান্তরকে বলেন, প্রিজন সেলে বসে রফিকুল আমীনের জুম মিটিংয়ে অংশ নেওয়ার ঘটনায় চার প্রধান কারারক্ষীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।এ ছাড়া চার প্রধান কারারক্ষীসহ ১৭ কারারক্ষীকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার আটজনকে ও শুক্রবার নয়জনকে প্রত্যাহার করা হয়। অন্যদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা দায়ের করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত শেষে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তিনি বলেন, যাদের প্রত্যাহার করা হয়েছে তারা সবাই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) দায়িত্বরত ছিলেন।

উল্লেখ্য, দুদকের মানি লন্ডারিং মামলায় ২০১২ সালের অক্টোবরে গ্রেফতার হন রফিকুল আমীন। এরপর থেকে ডেসটিনির এই এমডি বিভিন্ন সময় ভিন্ন ভিন্ন রোগের কথা বলে হাসপাতালের প্রিজন সেলে থেকেছেন। মূলত বিএসএমএমইউ ও বারডেম হাসপাতালে তিনি আসা-যাওয়ার মধ্যেই ছিলেন বলে কারা সূত্রে জানা গেছে। এর মধ্যে বেশিরভাগ সময় তিনি ছিলেন বিএসএমএমইউতেই।