শিমুলিয়া-বাংলাবাজারে ফেরি কম, চাপ বেড়েছে লঞ্চে

শিমুলিয়া-বাংলাবাজারে ফেরি কম, চাপ বেড়েছে লঞ্চে

শিমুলিয়া-বাংলাবাজারে ফেরি চলাচল কমিয়ে তিনটিতে আনা হয়েছে। ফলে যাত্রীর সব চাপ লঞ্চে গিয়ে পড়েছে। যাত্রীদের মাস্ক, সামাজিক দূরত্ব কোনো কিছুই মানার বালাই নাই। কঠোর বিধিনিষেধ উঠে যাওয়ার দ্বিতীয় দিনে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে লঞ্চে ভিড় থাকলেও ফেরিতে যাত্রীর উপস্থিতি তেমন নেই। উভয় পাড়ে পণ্যবাহী ও যাত্রীবাহী গাড়ির সারি বৃদ্ধিই পাচ্ছে। ইতোমধ্যে চার শতাধিক গাড়ি পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে।

নৌরুটের বহরে থাকা ১৭টি ফেরির মধ্যে গতকাল বুধবার চলেছে পাঁচটি, আজ বৃহস্পতিবার চলছে তিনটি।

ঘাট সংশ্লিষ্টরা জানান, নৌরুটে বর্তমানে ৮৭টি লঞ্চ ও তিনটি মিডিয়াম ফেরি দিয়ে যানবাহন ও যাত্রী পারাপার করা হচ্ছে। ডাম্প, ছোট ও রোরো ফেরি চলাচল করছে না। চালু থাকা ফেরিগুলোর মধ্যেও ধারণ ক্ষমতার কম যানবাহন পারাপার হচ্ছে। এতে ঘাট এলাকায় দেখা দিয়েছে, যানবাহনের দীর্ঘ সারি। এদিকে গণপরিবহন সচল হওয়া শিমুলিয়াঘাটে পৌঁছে সহজেই ঢাকাসহ গন্তব্যে পৌঁছাতে পারছেন যাত্রীরা।

বিআইডব্লিউটিএর শিমুলিয়া নদীবন্দরের নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা উপপরিচালক মোঃ শাহাদাত হোসেন জানান, সকাল থেকে নৌরুটে ৮৭টি লঞ্চ সচল রয়েছে। উভয়মুখি যাত্রীই পারাপার হচ্ছে। তবে সকাল থেকে ঢাকামুখি যাত্রীর সংখ্যা প্রচুর। কঠোর লকডাউনের বিধিনিধিষেধ উঠে যাওয়ায় ঢাকামুখি কর্মজীবী মানুষই বেশি পারাপার হচ্ছে।

বিআইডব্লিউটিসির সহকারী ব্যবস্থাপক বাণিজ্য মাহবুবর রহমান জানান, নৌরুটে তিনটি মিডিয়াম ফেরি সচল রয়েছে। লঞ্চ চালু হওয়া ফেরিতে যাত্রীর তেমন চাপ নেই। শিমুলিয়া ঘাটে চার শতাধিক গাড়ি পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে।

তিনি আরো জানান, ভারি যানবাহন পার হবে কি না- এ ব্যাপারে সিদ্ধান্তের কোনো কাগজপত্র আমরা এখনো পাইনি। তবে প্রতিটি ফেরিই কমসংখ্যক যানবাহন নিয়ে পদ্মা পাড়ি দিচ্ছে।

এমজে/