রাজশাহীতে কলেজছাত্র রাজু হত্যায় ৫ জনের মৃত্যুদণ্ড

রাজশাহীতে কলেজছাত্র রাজু হত্যায় ৫ জনের মৃত্যুদণ্ড

রাজশাহীতে কলেজছাত্র রাজু আহম্মেদ হত্যা মামলায় পাঁচজনের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত। সেইসাথে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় মামলার ১৪ আসামির মধ্যে ৯ জনকে খালাস দেয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার দুপুরে রাজশাহীর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক অনুপ কুমার সাহা এ রায় দেন।

মৃত্যুদণ্ড পাওয়া আসামিরা হলেন- রাজশাহী নগরীর দড়িখড়বোনা এলাকার আজিজুর রহমান ওরফে রাজন, সাজ্জাদ হোসেন ওরফে সাজু, মো: রিংকু ওরফে বয়া, দুর্গাপুর উপজেলার ব্রম্ভপুর গ্রামের ইসমাইল হোসেন ও বাগমারা উপজেলার মাদারীগঞ্জ গ্রামের মাহাবুর রশীদ ওরফে রেন্টু।

রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পাঁচজনকে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এন্তাজুল হক বাবু।

জানা যায়, ২০১০ সালের ১৫ মার্চ রাতে রাজশাহী মহানগরীর নিউ মার্কেট এলাকায় দুর্বৃত্তদের উপর্যুপরি ছুরিকাঘাতে কলেজছাত্র রাজু আহম্মেদ খুন হন। তিনি রাজশাহী জেলার দুর্গাপুরের দাওকান্দি ডিগ্রি কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী ছিলন। তার বাড়ি বাগমারা উপজেলার হাসনিপুর গ্রামে। মহানগরীর মন্নাফের মোড় এলাকায় এক বন্ধুর সাথে মেসে থাকতেন।

আসামি মাহাবুর রশীদ ওরফে রেন্টুর সাথে বাগমারার একটি জমি নিয়ে রাজুর পরিবারের বিরোধ ছিল। এর জের ধরে ভাড়াটে সন্ত্রাসীদের নিয়ে রাজুকে হত্যা করেন মাহাবুর রশীদ।

ঘটনার দিন সন্ধ্যার পর রাজু তার কম্পিউটার সারাতে নিউমার্কেটে আসেন। এক সময় রাজু নিউমার্কেটের পশ্চিম প্রান্তে ‘ভাই ভাই হোটেল’ এর পেছনে এলে অজ্ঞাতপরিচয়ের দুর্বৃত্তরা তাকে ঘিরে ধরে পেটে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। গুরুতর আহত রাজুকে স্থানীয় লোকজন দ্রুত রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত সোয়া ৯টার দিকে তার মৃত্যু হয়।

এ ঘটনায় পরদিন ১৬ মার্চ নিহত রাজুর বাবা এসার উদ্দিন রাজশাহী মহানগরীর বোয়ালিয়া থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় ৫৮ জন সাক্ষী ছিলেন। আদালত ৩১ জনের সাক্ষ্য গ্রহণের পর এই মামলার রায় ঘোষণা করেন।

এমজে/