চরমভাবাপন্ন আবহাওয়াই এখন নতুন স্বাভাবিক: ডব্লিউএমও

চরমভাবাপন্ন আবহাওয়াই এখন নতুন স্বাভাবিক: ডব্লিউএমও

বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা (ডব্লিউএমও) বলেছে, তীব্র তাপপ্রবাহ, বিধ্বংসী বন্যাসহ চরমভাবাপন্ন আবহাওয়ার ঘটনাগুলোই এখন নতুন স্বাভাবিক। বিবিসি অনলাইনের প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়।

২০২১ সালের জলবায়ু প্রতিবেদনে এমন একটি বিশ্বকে তুলে ধরা হয়েছে, যা আমাদের চোখের সামনেই বদলে যাচ্ছে।

ডব্লিউএমওর অধ্যাপক পেটেরি তালাস বলেন, চরমভাবাপন্ন ঘটনাগুলোই নতুন স্বাভাবিক।

তালাস জানান, মানুষের কারণে জলবায়ু যে পরিবর্তিত হচ্ছে, সে বিষয়ে বৈজ্ঞানিক তথ্য-প্রমাণ বাড়ছে।

স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোতে অনুষ্ঠিত বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনের (কপ-২৬) সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ডব্লিউএমও আগাম প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।

প্রতিবেদনে বৈশ্বিক উষ্ণতা, চরমভাবাপন্ন আবহাওয়া, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা, সমুদ্রের পরিস্থিতিসহ বিভিন্ন বিষয় উঠে এসেছে।

জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, মানুষ ও পৃথিবীর জন্য কপ-২৬ সম্মেলনকে অবশ্যই একটি ‘টার্নিং পয়েন্ট’ হতে হবে।

বিশ্বে দাবদাহ, দাবানল ও বন্যার মতো জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট চরমভাবাপন্ন আবহাওয়া তীব্রতর হচ্ছে। গত দশক ছিল রেকর্ড গরম। বিজ্ঞানীরা বারবার এ ব্যাপারে সতর্কতা উচ্চারণ করে আসছেন। বিশ্বের সরকারগুলো একমত যে এ বিষয়ে জরুরি ভিত্তিতে যৌথ পদক্ষেপ দরকার।

কপ-২৬ সম্মেলনে বিশ্বের ২০০টি দেশের কাছে ২০৩০ সালের মধ্যে কার্বন নিঃসরণ কমানোর বিষয়ে তাদের পরিকল্পনা জানতে চাওয়া হবে। জলবায়ু বিপর্যয় এড়াতে এই দেশগুলো ২০১৫ সালের প্যারিস চুক্তিতে বৈশ্বিক উষ্ণতা প্রাক্‌–শিল্পায়ন যুগের চেয়ে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি যাতে না বাড়ে, সে ব্যাপারে সম্মত হয়েছিল। তবে এরই মধ্যে বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, বৈশ্বিক তাপমাত্রার বৃদ্ধি ১.৫ ডিগ্রিতে সীমিত না রাখতে পারলে বিপর্যয় এড়ানো যাবে না। এ বিষয়ে কপ-২৬ থেকে জোরালো সিদ্ধান্ত আসার আশা করছে বিশ্ববাসী।