ক্যাসিনো ব্যবসা: সাবেক কাউন্সিলর সাঈদ, আরমান ও লোকমানের বিচার শুরু

ক্যাসিনো ব্যবসা: সাবেক কাউন্সিলর সাঈদ, আরমান ও লোকমানের বিচার শুরু

ক্যাসিনো ব্যবসার মাধ্যমে অবৈধ অর্থ উপার্জনের মামলায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক কাউন্সিলর এ কে এম মমিনুল হক সাঈদসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। ঢাকার বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম আজ রোববার এই আদেশ দেন। আগামী ১৫ ডিসেম্বর মামলার সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য করা হয়েছে। প্রথম আলোকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন ওই আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর মাহবুবুল হাসান।

এই মামলায় অপর অভিযুক্ত আট আসামি হলেন মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক লোকমান হোসেন ভূঁইয়া, বহিষ্কৃত যুবলীগ নেতা এনামুল হক আরমান, এনামুল হক সাঈদের সহযোগী ছালাউদ্দিন, ক্যাসিনো ব্যবসায়ী আবুল কাশেম, তানভীর আহমেদ, আসাদ শাহ চৌধুরী, আওলাদ হোসেন ও জামাল উদ্দিন। তাঁদের মধ্যে লোকমান, ছালাউদ্দিন, আওলাদ ও জামাল জামিনে আছেন। কারাগার থেকে এনামুল হক আরমানকে আদালতে হাজির করা হয়। পলাতক রয়েছেন অপর চার আসামি।

আদালতসংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, অবৈধ ক্যাসিনো ব্যবসার মাধ্যমে সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মোহামেডান ক্লাবের সাবেক সভাপতি লোকমান হোসেন ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে ২০১৯ সালের ১৯ নভেম্বর মামলা করে পুলিশ। মামলাটি তদন্ত করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) সাবেক কাউন্সিলর মমিনুল হক সাঈদসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে গত বছরের ৩১ আগস্ট আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়। অভিযোগপত্রে বলা হয়, সাবেক কাউন্সিলর ও বহিষ্কৃত যুবলীগ নেতা মমিনুল হক সাঈদ দলের ক্ষমতার অপব্যবহার করে মোহামেডান ক্লাবে ক্যাসিনো ব্যবসা পরিচালনা করতেন। সাঈদের বন্ধু আবুল কাশেম প্রতিদিন পাঁচ লাখ টাকা দেওয়ার বিনিময়ে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব হলরুম ভাড়া নেন।

সাঈদের ব্যবস্থাপক আসামি সালাউদ্দিন প্রতিদিন ওই ক্লাব থেকে মমিনুল হক সাঈদের জন্য পাঁচ লাখ টাকা নিতেন। অভিযোগপত্রে আরও বলা হয়, মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবে ক্যাসিনো ব্যবসা পরিচালনার মাধ্যমে ১২ কোটি টাকা আয় করেন আসামি মমিনুল হক সাঈদ। ওই টাকা তাঁর স্বার্থসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান বৈশাখী এন্টারপ্রাইজের একটি ব্যাংক হিসাবে স্থানান্তর করা হয়।