ঢাবি ছাত্রী এলমার মৃত্যুর ঘটনায় স্বামী ইফতেখার রিমান্ডে

ঢাবি ছাত্রী এলমার মৃত্যুর ঘটনায় স্বামী ইফতেখার রিমান্ডে

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী এলমা চৌধুরী মেঘলা হত্যা মামলায় তার স্বামী ইফতেখার আবেদীনের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত আজ বুধবার এ আদেশ দেন। ঢাকা মহানগর পুলিশের অপরাধ ও তথ্য বিভাগের উপপরিদর্শক (এসআই) আলমগীর হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আদালতসংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, মামলায় গ্রেপ্তার আসামি ইফতেখার আবেদীনকে আদালতে হাজির করে সাত দিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করে পুলিশ। আদালত উভয় পক্ষের শুনানি নিয়ে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এলমা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃত্যকলা বিভাগের ছাত্রী ছিলেন। তাঁর অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় স্বামী ইফতেখারকে গতকাল মঙ্গলবার আটক করে পুলিশ। এলমার মৃত্যুর ঘটনায় তাঁর বাবা সাইফুল ইসলাম চৌধুরী আজ বাদী হয়ে রাজধানীর বনানী থানায় হত্যা মামলা করেন।

মামলায় ইফতেখার আবেদীন, তাঁর মা শিরিন আমিন ও ইফতেখারের পালক বাবা মো. আমিনকে আসামি করা হয়েছে।

বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আযম মিয়া বলেন, গতকাল বিকেল চারটার দিকে এলমাকে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে নেওয়া হয়। ঘণ্টাখানেকের মধ্যে তাঁর মৃত্যু হয়। সুরতহালে এলমার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে।

মামলার এজাহারে বলা হয়, চলতি বছরের এপ্রিলে এলমার সঙ্গে ইফতেখারের বিয়ে হয়। বিয়ের পর ইফতেখার ও তাঁর মা–বাবা এলমাকে পড়ালেখা বন্ধ করে দিতে বলেন। এলমা পড়া বন্ধ করতে না চাওয়ায় ইফতেখার ও তাঁর মা–বাবা মিলে তাঁকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করতেন। একপর্যায়ে মাথার চুল কেটে দেওয়া হয়। বিয়ের তিন মাস পর ইফতেখার কানাডায় চলে যান।

ইফতেখার ১২ ডিসেম্বর ঢাকায় ফেরেন। গতকাল সাইফুল ইসলামের স্ত্রীর মুঠোফোনে কল করে ইফতেখার জানান, তাঁর মেয়ে গুরুতর অসুস্থ। চিকিৎসার জন্য গুলশানের একটি হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে। তাঁদের আসতে বলেন তিনি।

সাইফুল ইসলাম চৌধুরীর অভিযোগ করেন, আসামিদের সন্দেহজনক আচরণ দেখে মেয়ের লাশ পর্যবেক্ষণ করেন তিনি। দেখেন শরীরের বিভিন্ন জায়গায় জখমের চিহ্ন। পরে মামলা করেন। এজাহারে তিনি বলেছেন, তিন আসামি পরস্পর যোগসাজশে পরিকল্পিতভাবে এলমাকে মারধর করে হত্যা করেছেন।