চাঁদা না পেয়ে কক্সবাজারে ধর্ষণ

চাঁদা না পেয়ে কক্সবাজারে ধর্ষণ

চাঁদা না পেয়ে কক্সবাজারে স্বামী সন্তানকে জিম্মি করে নারী পর্যটককে ধর্ষণ করার কথা জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে আশিকুল ইসলাম। এ তথ্য জানিয়েছে র‍্যাব। ১২ মামলার আসামি আশিক গ্রেপ্তার এড়াতে দাড়ি-গোঁফ কামিয়ে আত্মগোপনে চলে যায়। রোববার মাদারীপুরে তাকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব।

কাওরান বাজারে র‍্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আজ এক সংবাদ সম্মেলনে র‍্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, আশিক কক্সবাজারে প্রায় ৩০ জনের একটি অপরাধীচক্রের নেতৃত্ব দেয়। এই চক্রটি নানা অপরাধের সঙ্গে জড়িত। পর্যটকরা ছিল মূলত তাদের টার্গেট। তারা ওই নারী এবং তার স্বামীর কাছে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেছিল। আশিকের সঙ্গে ওই নারীর পরিচয় ঘটনার দুইদিন আগে হয়েছিল।

জিজ্ঞাসাবাদের তথ্য তুলে ধরে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, আশিক জানিয়েছে চাঁদা দিতে অস্বীকার করার পরই হোটেলে নিয়ে ওই নারীকে ধর্ষণ করে।

২৫ বছর বয়সী ওই নারীর অভিযোগ, সংঘবদ্ধ একটি চক্র কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের লাবনী পয়েন্ট থেকে তাকে তুলে নেয়। তার স্বামী-সন্তানকে জিম্মি করে এবং হত্যার হুমকি দিয়ে তাকে কয়েক দফা ধর্ষণ করে তিনজন।

খন্দকার মঈন বলেন, আশিকের নেতৃত্বে অপরাধীচক্রটি পর্যটকদের বিভিন্ন প্রকার ফাঁদে ফেলে টাকা আদায় করা নিয়মিত ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছিল। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাও তার ফাঁদে পা দিয়ে টাকা দিয়ে ছাড়া পেয়েছে। তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়, জবরদখল, ডাকাতি, ছিনতাই এবং ধর্ষণের একাধিক মামলা রয়েছে। সর্বশেষ একটি মামলায় আশিক আড়াই বছর জেল খেটেছে।

এমজে/