ঘরে ফেরার আহ্বান আ.লীগের: পাত্তা দেয়নি শাবি শিক্ষার্থীরা

ঘরে ফেরার আহ্বান আ.লীগের: পাত্তা দেয়নি শাবি শিক্ষার্থীরা

সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ঘরে ফেরার আহ্বান জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় ও সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের নেতারা। আজ মঙ্গলবার দুপুরে ক্যাম্পাসের গোলচত্বরে গিয়ে তাঁরা এ আহ্বান জানান। তবে ওই আহ্বান শুনেই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে স্লোগান দেন শিক্ষার্থীরা।

আজ বেলা দুপুর ১২টার দিকে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী, সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন, জেলা কমিটির সহসভাপতি আশফাক আহমদ, মহানগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক বিধান কুমার সাহা, সিলেট সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর ইলিয়াসুর রহমান প্রমুখ ক্যাম্পাসে যান। তাঁরা আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের বলেন, আওয়ামী লীগ সব সময় শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে সমর্থন দিয়ে আসছে। যেকোনো শান্তিপূর্ণ আন্দোলন সব সময় প্রতিনিধিদের মাধ্যমে সমাধান হয়ে থাকে। যেহেতু বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন শিক্ষার্থীদের প্রথম যেসব দাবি ছিল তা মেনে নিয়েছে, তাই সবার উচিত ঘরে ফিরে যাওয়া।

নেতারা আরও বলেন, আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের বিষয়ে আওয়ামী লীগ ওয়াকিবহাল। পররাষ্ট্রমন্ত্রী তাঁর প্রতিনিধি পাঠিয়ে আহত শিক্ষার্থীদের দায়িত্ব নিয়েছেন। আওয়ামী লীগ নেতাদের বক্তব্যের পরপরই আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে স্লোগান শুরু করেন।

এদিকে বেলা দেড়টার দিকে আওয়ামী লীগের নেতারা বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলচত্বর থেকে উপাচার্যের বাসভবনে যান। এর পাঁচ মিনিট পরই আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা স্লোগান দিতে দিতে উপাচার্যের বাসভবনের দিকে যান। বেলা তিনটা পর্যন্ত আন্দোলনকারীরা উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচিতে ছিলেন।

বেগম সিরাজুন্নেসা হলের প্রাধ্যক্ষ জাফরিন আহমেদের বিরুদ্ধে অসদাচরণের অভিযোগ তুলে তিন দফা দাবিতে গত বৃহস্পতিবার রাতে হলের কয়েক শ ছাত্রী উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থানের মধ্য দিয়ে আন্দোলনের সূচনা করেন। গত রোববার অবরুদ্ধ উপাচার্যকে মুক্ত করতে শিক্ষার্থীদের লাঠিপেটার পাশাপাশি শটগানের গুলি ও সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে পুলিশ। ওই দিন রাত সাড়ে আটটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ও শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার সিদ্ধান্তের কথা জানান উপাচার্য। তবে শিক্ষার্থীরা এ সিদ্ধান্ত না মেনে পুলিশের হামলার প্রতিবাদে এবং উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে গত রবিবার রাত থেকে আন্দোলন করছেন।