শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার পরামর্শ জাতীয় কমিটির

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার পরামর্শ জাতীয় কমিটির

করোনার সংক্রমণ কমে আসায় চলতি ফেব্রুয়ারি মাসেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার পরিকল্পনা করছে সরকার। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে খোলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে আজ বুধবার রাতে করোনাবিষয়ক জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সঙ্গে বৈঠক করেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনিসহ শিক্ষা প্রশাসনের শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তারা।

বৈঠকটি শুরু হয় রাত ১০টায়। বৈঠক শেষে রাত ১১টার দিকে করোনাবিষয়ক জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ সহিদুল্লা বলেন, সংক্রমণ পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে মেনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করা যেতে পারে। আলোচনা করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার তারিখ ঠিক করতে পারে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়।

এদিকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার তারিখ জানাতে আগামীকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় সংবাদ সম্মেলন ডেকেছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।

করোনার সংক্রমণের কারণে ২০২০ সালের ১৭ মার্চ দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করেছিল সরকার। করোনা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলে দীর্ঘ ১৮ মাস পর গত বছরের সেপ্টেম্বরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হয়। তখন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিলেও শ্রেণি কার্যক্রম চলছিল স্বল্প পরিসরে। সব শ্রেণির ক্লাস সব দিন হচ্ছিল না। কিন্তু নতুন করে করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় গত ২১ জানুয়ারি আবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি ঘোষণা করে সরকার। প্রথম দফায় এই ছুটি শেষ হওয়ার কথা ছিল ৬ ফেব্রুয়ারি। কিন্তু পরে তা আবার বাড়িয়ে ২১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত করা হয়।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে গত রোববার এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ করার সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন, ‘এখন একটু খারাপ সময় গেলেও আমরা আশা করি, এ মাসের শেষের দিকে অবস্থার একটু পরিবর্তন হবে এবং সেই সময় আমরা স্কুল-কলেজসহ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আবার খুলে দিতে পারব।’

দীর্ঘ ছুটির কারণে দেশের প্রায় চার কোটি শিক্ষার্থীর পড়াশোনা ক্ষতির মুখে পড়েছে। জাতিসংঘের শিশু তহবিল ইউনিসেফ সম্প্রতি বলেছে, করোনাভাইরাসের কারণে শিক্ষাব্যবস্থা বিঘ্নের দুই বছর হবে আগামী মার্চে (মাঝে কিছুদিন খোলা ছিল)। এর মধ্যে শিশুদের পড়াশোনার অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে। এ ক্ষেত্রে শুধু স্কুল পুনরায় খুলে দেওয়াই যথেষ্ট নয়। পড়াশোনার ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে এবং শিক্ষার্থীদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য, সামাজিক বিকাশ এবং আগের অবস্থায় পুষ্টি ফিরিয়ে নিতে স্কুলগুলোকে শিক্ষার নির্ধারিত গণ্ডির বাইরেও কাজ করতে হবে।