দাম বেড়েছে চিনি-ডাল-মুরগির, কমেছে ডিম-সবজির

দাম বেড়েছে চিনি-ডাল-মুরগির, কমেছে ডিম-সবজির

বাজারে দাম বেড়েছে চিনি, দেশি মুসুরির ডাল ও মুরগির। কমেছে ডিম ও সবজির দাম।

এছাড়া অপরিবর্তিত রয়েছে অন্যান্য পণ্যের দাম। শুক্রবার (২২ এপ্রিল) সকালে রাজধানীর মিরপুরের ১১ নম্বর বাজার, মিরপুর কালশী বাজার ও পল্লবী এলাকা ঘুরে এমন চিত্র উঠে এসেছে।

বাজারে সবজির দাম কম থাকলেও বেশি দামে এখনও বিক্রি হচ্ছে বেগুন। এসব বাজারে শসা প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা। লম্বা বেগুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা আর গোল বেগুন বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা কেজি। টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা, শিম বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা, করলা ৮০ টাকা, গাজর প্রতি কেজি ৪০ টাকা, চাল কুমড়া পিস ৪০ টাকা, প্রতি পিস লাউ আকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়, মিষ্টি কুমড়ার কেজি ৪০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, পটল ৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ টাকা, মুলা ৪০ টাকা, শালগম ৪০ টাকা, কচুর লতি ৬০ টাকা, পেঁপের কেজি ৪০ টাকা, বটবটির কেজি ৬০ টাকা, ধুনধুলের কেজি ৬০ টাকা মটরশুটির কেজি ১২০ টাকা।

১১ নম্বর বাজারের সবজি বিক্রেতা আল-আমিন বাংলানিউজকে বলেন, বাজারে সবজির আমদানি ভাল আছে। কিন্তু ক্রেতারা রোজার মাসে সবজি কম খায়। এ কারণেই দাম কমেছে।

এইসব বাজারে কাঁচামরিচ প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা। কাঁচা কলার হালি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। পেঁপে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা। লেবুর হালি বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ৪০ টাকা।

এসব বাজারে আগের দামে বিক্রি হচ্ছে আলু। আলুর কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা। পেঁয়াজও আগের দামে বিক্রি হচ্ছে। দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩৫ টাকা কেজি।

বাজারে চায়না রসুন প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১২০ টাকা। দেশি রসুন বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা কেজি। দেশি আদার কেজি ৮০ টাকা। চায়না আদার দাম কমে বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকা।

বাজারে ভোজ্যতেলের লিটার বিক্রি হচ্ছে ১৭০ টাকা। দুই লিটারের তেলের বোতল বিক্রি হচ্ছে ৩৪০ টাকায়। বেড়েছে চিনির দাম। প্রতি কেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৮৫ টাকায়। এছাড়া প্যাকেট চিনির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮৫ থেকে ৯০ টাকায়। এছাড়াও এসব বাজারে দেশি মুশুরের ডালের দাম কেজিতে বেড়েছে ১০ টাকা। দেশি মুশুরের ডালের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকা। এক সপ্তাহ আগেও কেজি বিক্রি হয়েছে ১২০ টাকা।

কমেছে ডিমের দাম। লাল ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা। হাঁসের ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৫৫ টাকায়। দেশি মুরগির ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা।

১১ নম্বর বাজারের ডিম বিক্রেতা মো. আশিক বলেন, চাহিদা কম থাকায় ডিমের দাম আবারও কমেছে। রোজায় মানুষ ডিম কম খায়। ঈদের পরে ডিমের দাম বাড়ার সম্ভাবনা আছে।

গরুর মাংসের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬৫০ থেকে ৬৮০ টাকা। খাসির মাংসের কেজি ৯০০ টাকা। বেড়েছে মুরগির দাম। ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৬৫ থেকে ১৭০ টাকা। সাত দিন আগে বিক্রি হয়েছিল ১৬০ টাকা কেজি। আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে সোনালি মুরগি। সোনালি মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৮০ টাকা। লেয়ার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৪০ টাকায়।

১১ নম্বর বাজারের মুরগি বিক্রেতা রুবেল বাংলানিউজকে বলেন, একদিন আগেও ব্রয়লার মুরগির দাম কম ছিল। সিন্ডিকেটের কারণে ব্রয়লার মুরগির কেজিতে আজকে ১৫ টাকা দাম বেড়েছে। শুধুমাত্র সিন্ডিকেটের কারণে মুরগির দাম বাড়ছে।