ন্যায্য দামের দাবিতে সড়কে আলু ফেলে চাষীদের প্রতিবাদ

ন্যায্য দামের দাবিতে সড়কে আলু ফেলে চাষীদের প্রতিবাদ

প্রান্তিক চাষী পর্যায়ে আলুর ন্যায্য দাম নিশ্চিত করার পাশাপাশি তা বিদেশে রফতানির দাবি জানিয়ে প্রতিবাদ করেছে রংপুরের আলু চাষীরা।

সোমবার বেলা ১১টার দিকে রংপুর মহানগরীর সাতমাথায় মহাসড়কে আলু ছিটিয়ে প্রতিবাদ জানায় তারা। কৃষকদের দাবি আলু চাষে উৎপাদন খরচই পাচ্ছে না তারা।

সরেজমিনে দেখা যায়, কেউ ভ্যানে, কেউ মাথায় করে বস্তা ভর্তি আলু এনে সড়কে ছিটিয়ে দিচ্ছে। শুধু তাই নয়; নিজেদের সোনার ফসল ওই ছিটানো আলুর ওপর দিয়ে পরে ভ্যান-রিকশা চালিয়েও প্রতিবাদ জানায় তারা।

এ সময় সড়কে আলুর পাশে দাড়িয়ে থাকেন তারা। এতে প্রায় পৌনে এক ঘণ্টা রংপুর-কুড়িগ্রাম আঞ্চলিক মহাসড়কে যাতায়াত বন্ধ হয়ে যায়। পরে পুলিশ এসে চাষীদের বুঝিয়ে সড়ক থেকে সরিয়ে নিলে রাস্তা স্বাভাবিক হয়।

এ সময় চাষী আব্দুন নুর এবং খাজাবাহার জানিয়েছেন, লাগানো থেকে স্টোরজাত পর্যন্ত তাদের প্রতি কেজিতে খরচা হয়েছে ১১ থেকে ১৩ টাকা। কিন্তু এখন মাঠে বিক্রি হচ্ছে ৯ থেকে ১০ টাকা। ন্যায্য দাম নিশ্চিতে তাদের এই প্রতিবাদ।

রাসেল মিয়া, আরিফুল ইসলাম, মোবারক হোসেন ও মনসুর জানান, দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ আলু উৎপাদনকারী জেলা রংপুরের আলুচাষী আমরা এখন হতাশায়। দাম না বাড়লে কৃষক বাঁচবে না। তার ওপর ঘরে রাখা আলু যাচ্ছে পঁচে। আমরা আলু রফতানি করার ব্যবস্থার দাবি জানাচ্ছি।

রংপুর বিভাগীয় আলু চাষী কল্যাণ সমিতির সদস্য সচিব বিশ্বজিত কুমার জানান, এখন যেসব আলু ঘরে রাখা আছে সেগুলো পঁচে যাচ্ছে। স্টোরেজও ফুল। দামও কম। এই অবস্থায় আলু বিদেশে পাঠানো না হলে চাষীরা আবারো আলু নিয়ে বিপাকে পড়বেন।

কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, রংপুর, দিনাজপুর, বগুড়া ও রাজশাহী নিয়ে গঠিত উত্তরাঞ্চলের ৪টি কৃষি জোনে আলুর আবাদ হয়েছে প্রায় পৌনে চার লাখ হেক্টর জমিতে। যেখান থেকে ৮০ লাখ টনেরও বেশি আলু উৎপাদন হওয়ার কথা বলছে কৃষি বিভাগ।