ফের বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগ

বিচারবহির্ভূত সকল হত্যাকাণ্ডের স্বচ্ছ তদন্ত চায় যুক্তরাষ্ট্র

বিচারবহির্ভূত সকল হত্যাকাণ্ডের স্বচ্ছ তদন্ত চায় যুক্তরাষ্ট্র

সাময়িক বিরতির পর ফের র‌্যাবের সঙ্গে কথিত ‘বন্দুকযুদ্ধে’ দুই যুবক নিহতের ঘটনাসহ সাম্প্রতিক সময়ে বিচারবহির্ভূত হত্যার যেসব অভিযোগ উঠেছে তার স্বচ্ছ তদন্ত চায় যুক্তরাষ্ট্র। সাংবাদিকদের জিজ্ঞাসার জবাবে ঢাকাস্থ যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের মুখপাত্র সোমবার রাতে এমনটাই জানিয়েছেন।

গত ১৭ এপ্রিল কুমিল্লায় সাংবাদিক মহিউদ্দিন সরকার হত্যা মামলার প্রধান আসামি মো. রাজু এবং দু'দিন পর (২০শে এপ্রিল) মানিকগঞ্জে আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সদস্য কাউসার র‌্যাবের সঙ্গে গোলাগুলিতে নিহত হন। গণমাধ্যমে পাঠানো এক বার্তায় যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের মুখপাত্র বলেন, বিচারবহির্ভূত সব হত্যার অভিযোগ তদন্তে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তথা বাংলাদেশ সরকারের নিজস্ব মেকানিজম রয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্র এ বিষয়ে সম্যক অবহিত। অভিযোগগুলোর বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের উদ্বেগ পূনর্ব্যক্ত করে বলা হয়, সাম্প্রতিক ঘটনাসহ বিচারবহির্ভূত সব হত্যার স্বচ্ছ তদন্ত জরুরি। আমরা দেখতে চাই সরকার হত্যাকাণ্ডগুলোর তদন্ত কিভাবে করে, আর তাতে কী রিপোর্ট আসে। সেইসব তদন্তের ফলাফল প্রকাশ না হওয়া অবধি যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশ প্রশ্নে পরবর্তী সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য অপেক্ষায় থাকবে বলেও বার্তায় ইঙ্গিত দেয়া হয়।

গত বছরের ১০ই ডিসেম্বর গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে র‌্যাব ও বাহিনীটির সাবেক ও বর্তমান সাত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে যৌথভাবে কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র ট্রেজারি ও স্টেট ডিপার্টমেন্ট।

তবে নিষেধাজ্ঞার জেরে বাংলাদেশে বিচারবহির্ভূত হত্যা কমে আসে। বিচারবহির্ভূত হত্যা বন্ধের বিষয়টি বাইডেন প্রশাসনের বরাবর আপাতত বাহিনী হিসেবে র‌্যাবের ওপর থেকে আংশিকভাবে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের আবেদন জানায় ক্ষমতাসীন সরকার। প্রত্যাহারের ওই আবেদনের প্রেক্ষিতে রোববার রাজধানীতে এক সেমিনারে ঢাকাস্থ নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্র রাষ্ট্রদূত পিটার হাস তার দেশের অবস্থান স্পষ্ট করেন। বলেন, র‌্যাবের বিরুদ্ধে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগের সুরাহায় সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ এবং বাহিনীর সদস্যদের জবাবদিহিতা নিশ্চিত না হলে কোন অবস্থাতেই আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের সুযোগ নেই!-মানবজমিন