বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪১তম শাহাদাত বার্ষিকী আজ। ১৯৮১ সালের এই দিনে চট্টগ্রামে একদল বিপথগামী সেনাসদস্যের গুলিতে শাহাদাত বরণ করেন তিনি।
মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাসে উজ্জ্বল হয়ে আছেন জিয়াউর রহমান। ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ চট্টগ্রামের কালুরঘাট কেন্দ্র থেকে স্বাধীনতার ঘোষনা পাঠ করেছিলেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। তিনি দেশমাতৃকার মুক্তির জন্য হানাদারদের বিরুদ্ধে সেক্টর কমান্ডার ও জেড ফোর্সের অধিনায়ক হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দেন। মহান মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ও বীরত্বসূচক অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে সরকার তাকে ‘বীর উত্তম’ খেতাব দিয়ে সম্মানিত করে।
জিয়াউর রহমানের শাহাদাত বার্ষিকীতে বিভিন্ন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। দিনটি উপলক্ষে বিশেষ বাণী দিয়েছেন বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
জিয়াউর রহমানের শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে কর্মসূচির মধ্যে উল্লেখযোগ্য আজ ও আগামীকাল কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পতাকা উত্তোলন ও কালোব্যাজ ধারণ। সোমবার সকাল সাড়ে দশটায় শেরেবাংলাস্থ জিয়াউর রহমানের মাজারে শ্রদ্ধা জানাবে বিএনপি। এতে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ স্থায়ী কমিটির সদস্যরা উপস্থিত থাকবেন।
এর আগে গত ১০ই মে এক সংবাদ সম্মেলনে জিয়াউর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকীর কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। ৩০শে মে ২৯শে মে থেকে ৭ই জুন পর্যন্ত এসব কর্মসূচি পালন করা হবে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে আলোচনা সভা, আলোকচিত্র প্রদর্শনী, জিয়াউর রহমানের মাজারে শ্রদ্ধাঞ্জলি জ্ঞাপন করা। এ ছাড়া প্রতিটি অঙ্গ সংগঠনের মধ্যে যুবদল যুব সমপ্রদায়কে নিয়ে জিয়াউর রহমান কী কী কাজ করেছিলেন সেগুলো ফোকাস করে কর্মসূচি গ্রহণ করবে। একইভাবে মহিলা দল, তাঁতী দল, মৎস্যজীবী দল কর্মসূচি পালন করবে। ত্রাণ বিতরণ করবে মহানগর বিএনপি। এর আগে ৫০/৬০টি স্পটে ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছে। ৩০শে মে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে কর্মসূচি পালন করা হবে।
১৯৭৭ সালের ২১শে এপ্রিল প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন জিয়াউর রহমান। ১৯৮১ সালের ৩০শে মে নিহত হওয়ার আগ পর্যন্ত তিনি এ দায়িত্বে ছিলেন। ১৯৩৬ সালের ১৯শে জানুয়ারি বগুড়ায় জন্মগ্রহণ করেন জিয়াউর রহমান। মাত্র ৪৫ বছর বয়সেই তিনি প্রেসিডেন্ট থাকাকালে সেনাবাহিনীর কিছু বিপথগামী সদস্যের গুলিতে শহীদ হন।
১৯৭৮ সালের ১লা সেপ্টেম্বর বিএনপি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন জিয়াউর রহমান।
