অস্ত্রধারীদের দেখেনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ

অস্ত্রধারীদের দেখেনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ

সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনা তদন্ত করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের ওপর ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা রাম দা, রড, হকিস্টিক, লাঠি নিয়ে হামলা চালায়। এ ছাড়া ছাত্রদলকে লক্ষ্য করে ২ রাউন্ড গুলি চালানোর অভিযোগ উঠেছে তাদের বিরুদ্ধে। ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ভিডিও ফুটেজ, গোয়েন্দা তথ্য, অস্ত্রহাতে ভাইরাল হওয়া ছবিসব বিভিন্ন বিষয় বিচার বিশ্লেষণ করে অভিযুক্তদের আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

এ ঘটনায়, ছাত্রলীগ-ছাত্রদল এবং বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ পাল্টাপাল্টি মামলা করলেও এখন পর্যন্ত অস্ত্রধারী কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ঢাবিতে অস্ত্রধারীদের পরিচয় গণমাধ্যমসহ বিভিন্নভাবে প্রকাশ পেলেও তাদেরকে এখন পর্যন্ত কেন গ্রেপ্তার করা হয়নি? জানতে চাইলে পুলিশের রমনা অঞ্চলের উপ-কমিশনার (ডিসি) সাজ্জাদুর রহমান বলেন, তদন্তের স্বার্থে মামলার অগ্রগতির বিষয়ে এখনই বেশি কিছু বলা যাচ্ছে না। আমরা পুরো বিষয়টি নিয়ে কাজ করছি। এবং সংশ্লিষ্ট অন্য বাহিনীও কাজ করছে। বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণ শেষে দোষীদেরকে চিহ্নিত করে প্রচলিত আইন অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর একেএম গোলাম রব্বানী মানবজমিনকে বলেন, আমি কোনো অস্ত্রধারী দেখিনি। কারও নাম শুনিনি।

আপনারা জানলে এবং প্রমাণ থাকলে সেটা প্রকাশ করেন। এক্ষেত্রে আমাদের কোনো দ্বিমত নেই। সংঘর্ষের পর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যে মামলা করেছে সেখানে অস্ত্রধারী কাউকে চিহ্নিত করা হয়নি। পরোক্ষভাবে দায় দেয়া হয়েছে ছাত্রদলের ওপর। মামলায় অজ্ঞাতদের আসামি করায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের উদ্দেশ্য নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে।

পুলিশ সদর দপ্তরের সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি) মো. কামরুজ্জামান বলেন, এই সংঘর্ষের সময় যারা প্রকাশ্যে অস্ত্রসহ মহড়া দিয়েছেন তাদের বিষয়ে তদন্তসাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তাদের ছবি ইতিমধ্যে গণমাধ্যমসহ বিভিন্ন মাধ্যমে প্রকাশ পেয়েছে। তারা এখন আর হিডেন নেই। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট তদন্ত কর্মকর্তারা কাজ করছেন।

পুলিশ সদর দপ্তরের ডিআইজি (অপারেশন্স মিডিয়া অ্যান্ড প্ল্যানিং) মো. হায়দার আলী খান বলেন, এ ঘটনায় ঘটনাস্থলের বিভিন্ন তথ্য, ছবি, ভিডিও সংগ্রহ করা এবং গোয়েন্দা তথ্য বিশ্লেষণ করে তদন্ত কার্যক্রম চলমান রয়েছে। অস্ত্রধারী যারাই হোক না কেন তাদেরকে চিহ্নিত করে গ্রেপ্তারে পুলিশি কার্যক্রম এবং অভিযান চলমান রয়েছে। খুব শিগগিরই তাদেরকে গ্রেপ্তার শেষে আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছেন এই কর্মকর্তা।