আগামী সংসদ নির্বাচনে ইভিএমের ব্যবহার নিয়ে তর্ক বিতর্ক কমছে না একটুও। আস্থা অর্জনে ইসির সংলাপের ডাকেও কাজ হয়নি কিছুই। ৩৯ দলের মধ্যে আওয়ামী লীগসহ মাত্র ৪টি দলই প্রত্যক্ষ সায় দিয়েছে ইভএম'র পক্ষে। এ অবস্থায় ইচ্ছা থাকলেও জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম নিয়ে দোটানায় কমিশন।
নির্বাচন কমিশনার ব্রি. জে. (অব.) আহসান হাবীব খান বলেন, কেউ কেউ বলছেন ইভিএমে তারা রাজী না, কেউ কেউ রাজী, আবার কেউ কেউ বলছেন একটু সংশোধন করলে তারা রাজী আছেন। আপনারা আমাদের বিশ্লেষণ করতে দেন, বিশ্লেষণের পরেই আমরা উপনীত হবো।
এদিকে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর, ১৭ তারিখ নতুন করে আবারো মতামত নেয়া হবে রাজনৈতিক দলগুলোর। সে সংলাপেও যদি বেশিরভাগ দলের সায় না মেলে, ইভিএম চাপিয়ে দিতে তখন নতুন কৌশল নেবে ইসি।
ইভিএম আরো বেশি কার্যকর করতে সংলাপে কোন কোন রাজনৈতিক দলের মতামত ছিলো ভিভিপ্যাট বা পেপার ট্রেইল চালুর। কমিশনও মানছে এটি কার্যকরি, কিন্তু ইসির হাতে যে দেড় লাখ ইভিএম রয়েছে, ভিভিপ্যাট চালু করতে হলে কোন কাজেই আসবে না এই মেশিন।
শুরু থেকেই ইভিএমে আপত্তি বিএনপির। তবে কমিশন বলছে, শতভাগ সুষ্ঠু ভোট ইভিএম এই সম্ভব, ব্যালটে নয়।
