গ্রাম্য কোন্দলে নিঃস্ব নিরীহ মানুষ, নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ পুলিশ

গ্রাম্য কোন্দলে নিঃস্ব নিরীহ মানুষ, নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ পুলিশ

গ্রাম্য নানা কোন্দলে অনেকেরই প্রাণ গেছে। কেউ কেউ হয়েছেন নিঃস্ব। নড়াইলে শতাধিক গ্রামে কয়েক বছরে ঘটেছে ভাংচুর ও লুটপাটের বেশ কয়েকটি ঘটনা।

এই যেমন একরাতেই তছনছ হয়েছে কর্মচন্দ্রপুরের শাহনাজ বেগমের সাজানো সংসার। আধিপত্য বিস্তার ঘিরে কোন্দলে প্রতিপক্ষের হামলায় তার বাড়িঘরে চলে তাণ্ডব। লুট হয়েছে টাকা-পয়সা, আসবাবপত্র এমনকি জামাকাপড়ও। এ ঘটনায় একজন পুলিশ সদস্য আহত হওয়ায় মামলা হয় থানায়। তবে, ভয়ে পদক্ষেপ নেয়নি ভুক্তভোগী পরিবার। তাদের অভিযোগ, নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ পুলিশ ও প্রশাসন।

স্বাধীনতার পর থেকেই নানা ইস্যুতে বিরোধ চলে আসছে জেলার, মল্লিকপুর, কাশিপুর, কলাবাড়িয় ও বাঁশগ্রামসহ শতাধিক গ্রামে। এরমধ্যে শুধু কুমড়ি গ্রামেই খুন হয়েছেন অন্তত ২৫ জন। ভাঙচুর হয়েছে অসংখ্য বাড়িঘর। প্রাণ বাঁচাতে এলাকা ছেড়েছেন অনেকে।

অবশ্য তাদের এমন অভিযোগ নাকচ করেছে নড়াইল সদর পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মাহমুদুর রহমান। আর ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনের আশ্বাস দিয়েছেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান।

গত দুই বছরে নড়াইলের বিভিন্ন গ্রামে প্রতিপক্ষের হামলায় প্রাণ গেছে ২০ জনের। মামলা হয়েছে ৮০টি। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অন্তত ৫শ' পরিবার