সীমান্তে স্কুলছাত্র হত্যা: ৩৬ ঘণ্টায়ও মরদেহ দেয়নি বিএসএফ

সীমান্তে স্কুলছাত্র হত্যা: ৩৬ ঘণ্টায়ও মরদেহ দেয়নি বিএসএফ

দিনাজপুরের দাইনুর সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে হত্যার ৩৬ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও মরদেহ ফেরত না পাওয়ায় কান্না থামছেই না মিনারের পরিবারের সদস্যদের।

শুক্রবার (৯ সেপ্টেম্বর) বিকেল পর্যন্ত মরদেহ ফেরত না পাওয়ায় আক্ষেপ প্রকাশ করেন তারা।

নিহত মিনারের বাবা জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ৩৬ ঘণ্টা পার হয়ে গেল কিন্তু আমার ছেলের লাশটা এখনো ফেরত দিচ্ছে না। আমার ছেলে তো চলেই গেছে, লাশটা আমাদের ফেরত দিলে আমরা সুষ্ঠুভাবে তাকে দাফন করতাম। কিন্তু লাশ ফেরতের বিষয়ে বিজিবি এখনো সঠিক সময় দিতে পারছে না যে তারা আমার ছেলেকে ফিরিয়ে দেবে।

নিহত মিনারের চাচাতো ভাই রুবেল হাসান বলেন, আমার ভাইকে বিএসএফ হত্যা করে ভারতে নিয়ে গেছে। এতগুলো সময় পার হয়ে গেল কিন্তু তার লাশটা ফেরত দিল না এখনো। আমরা এর বিচার চাই এবং আমার ভাইয়ের লাশ তাড়াতাড়ি ফেরত চাই।

তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী ভারতে গিয়ে যেদিন বললেন যে সীমান্ত হত্যা বন্ধে আলোচনা হয়েছে সেদিন রাতেই আমার ভাইকে সীমান্তে হত্যা করা হলো। আমরা সত্যিই খুব হতাশ। আমরা ওদের দিলাম ইলিশ মাছ, আর ওরা দিল আমার ভাইয়ের লাশ।

এ বিষয়ে উপজেলার ৯ নম্বর আস্করপুর ইউনিয়নের মহিলা সদস্য রুমানা পারভীন বলেন, আমরা প্রতিনিধিরা বিজিবি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। তারা বিএসএফকে মরদেহ হস্তান্তরের বিষয়ে জানিয়েছেন। যেকোন সময়ে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে বলে জানিয়েছেন দিনাজপুর খানপুর সীমান্ত ফাঁড়ির দায়িত্বরত কর্মকর্তা।

জানা যায়, বুধবার (৭ সেপ্টেম্বর) রাত ১১টার দিকে দিনাজপুর সদর উপজেলার ১০ নম্বর কমলপুর ইউনিয়নের দাইনুর বিওপি ৩১৫ নাম্বার মেইন পিলারের কাছে কচ্ছপের শুঁটকি আনতে গিয়ে বিএসএফের গুলিতে নিহত হয় নবম শ্রেণিতে পড়ুয়া মিনার বাবু।