ঢাকার বৃত্তাকার নৌপথে স্পিডবোট চালু

ঢাকার বৃত্তাকার নৌপথে স্পিডবোট চালু

টঙ্গী নদীবন্দর থেকে ঢাকা বৃত্তাকার নৌপথে স্পিডবোট সার্ভিস চালু করা হয়েছে। এই রুটে পাঁচটি স্পিডবোট চলবে।

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এবং যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল আজ শনিবার টঙ্গী নদীবন্দরে স্পিডবোট সার্ভিসের উদ্বোধন করেন।

 

বেসরকারি উদ্যোগে প্রথম পর্যায়ে টঙ্গী-আবদুল্লাহপুর-কড্ডা এবং টঙ্গী-আবদুল্লাহপুর (গাজীপুর)-উলুখোলা (কালীগঞ্জ) এই দুটি রুটে স্পিডবোট চলাচল করবে। টঙ্গী-আবদুল্লাহপুর-কড্ডা ভাড়া ১৫০ টাকা। সময় লাগবে ২৫ মিনিট এবং টঙ্গী-আবদুল্লাহপুর (গাজীপুর)-উলুখোলা (কালীগঞ্জ) ভাড়া ১২০ টাকা। সময় লাগবে ১৯ মিনিট।

পর্যায়ক্রমে যাত্রীদের চাহিদার ভিত্তিতে কড্ডা-গাবতলী এবং গাবতলী-সদরঘাট এ দুটি নৌরুটে স্পিডবোট চালু করা হবে।

রাজধানীতে যানবাহনের চাপ কমাতে চারপাশ ঘিরে বৃত্তাকার নৌপথ চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয় দুই দশক আগে ২০০০ সালে। কথা ছিল, এই নৌপথ দিয়ে ঢাকার এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে সহজে যাতায়াত করতে পারবে মানুষ। বৃত্তাকার নৌপথে ২০০৪, ২০১০, ২০১৩ ও ২০১৪ সালে চার দফা ওয়াটার বাস ও লঞ্চ নামানো হয়েছিল। তবে সব কটি কিছুদিনের মধ্যে বন্ধ হয়ে যায়। এবার নামানো হলো স্পিডবোট।

বিআইডব্লিউটিএ সূত্রে জানা গেছে, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স ইনফিনিটি মেরিটাইমের মাধ্যমে এই সেবা চালু করা হচ্ছে। প্রতিষ্ঠানটি যেসব স্পিডবোট চালাবে, সেগুলো আগে মাওয়া ঘাটে চলত।

স্পিডবোট সার্ভিসের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোস্তফা কামাল, বিআইডিব্লিউটিএর চেয়ারম্যান কমোডর গোলাম সাদেক, নৌ পুলিশপ্রধান মো. শফিকুল ইসলাম, গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মোল্লা নজরুল ইসলাম, জেলা প্রশাসক আনিসুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে দুই প্রতিমন্ত্রী টঙ্গী নদীবন্দরে বিআইডব্লিউটিএর ইকোপার্ক উদ্বোধন করেন। টঙ্গী নদীবন্দর এলাকায় ৩.০ একর অধিগ্রহণকৃত ভূমির মধ্যে ২.৫ একর ভূমিতে ইকোপার্কটি নির্মিত হয়েছে। ইকোপার্কে ফলদ, বনজ ও ঔষধিসহ প্রায় ১০ হাজার গাছের চারা রোপণ করা হয়েছে, যা প্রাকৃতিক পরিবেশ রক্ষায় ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে। এখানে পাঁচতলাবিশিষ্ট একটি ওয়াচ টাওয়ার, ছয়টি চাইল্ড রাইড ও একটি ঝরনা রয়েছে।