সরকারকে রক্ষার দায়িত্ব প্রশাসনের নয়: গয়েশ্বর

সরকারকে রক্ষার দায়িত্ব প্রশাসনের নয়: গয়েশ্বর

সরকারকে রক্ষা করার দায়িত্ব প্রশাসনের লোকদের নয় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।

বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে স্বাধীনতা ফোরামের উদ্যোগে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শাহ মোয়াজ্জেম হোসেনের স্মরণে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, যারা প্রশাসনে আছেন সরকারের অংশীদার অথবা এ লুটপাটের অংশীদার তাদের বলব আপনাদের চাকুরি যাবে না। এখন থেকে সরকারের কোনো অপকর্মে যাবেন না। আপনার যেটা স্বাভাবিক দায়িত্ব সেটা করেন। যে সরকারকে জনগণ চায় না, সেই সরকারকে টিকিয়ে রাখার ক্ষেত্রে সে যেই হোক তাকে ছাড় দেয়ার সুযোগ থাকবে না।

সরকার পতনের সকল বিরোধী রাজনৈতিক দলকে নিয়ে যুগপৎ আন্দোলনের প্রসঙ্গ টেনে গয়েশ্বর বলেন, সবাই বিরোধী দলের সবাই একটা জায়গায় এসেছে। আজকে সবাইকে মিলে দেশটা উদ্ধার করতে হবে, আবার সবাই মিলে রাষ্ট্র মেরামত করতে হবে। এজন্য সর্বপ্রথম দরকার একটা সুষ্ঠু নির্বাচন। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য এই সরকারকে আগে সরাতে হবে। আর নয়। এনাফ ইজ এনাফ-এই সরকারকে বিদায় করতে হবে।

নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, এরশাদ স্বৈরাচার ছিলেন, এই সরকার তার চেয়েও বড় স্বৈরাচার। এরশাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছি ভোট ছাড়া ক্ষমতায় থাকার জন্য। শেখ হাসিনাও ভোট ছাড়া ক্ষমতায় আছে। এরশাদ এবং আইয়ুব খানও এভাবে উন্নয়নের গল্প শুনিয়েছেন। সবাই একসাথে রাস্তায় নামলে সরকারের পতন হবে। যুগপৎ আন্দোলনে সরকারের পতন ঘটাতেই হবে।

এসময় আওয়ামী লীগকে দেশের প্রথম চোর আখ্যায়িত করে 'স্বাধীনতার পর তারাই প্রথম ব্যালট বাক্স চুরি করেছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

মান্না বলেন, মেয়েদের ফুটবলে সোনা জয়ের অনুষ্ঠান এমনভাবে প্রচার করেছে যেন শেখ হাসিনা দলের ক্যাপ্টেন ছিলেন। মানুষকে সোনা জয়ের ঘোরে রেখে মুন্সিগঞ্জে বিএনপির উপর হামলা করেছে। ক্ষমতাসীনরা মুক্তিযুদ্ধ ও জঙ্গিবাদের ট্যাবলেট বেঁচেছেন অনেকদিন ধরে। জঙ্গি কাকে বানানো হচ্ছে সেটি কতটুকু সত্যি, তা বের করতে হবে।

আলোচনা সভায় শাহ মোয়াজ্জেম হোসেনের বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের চিত্র তুলে ধরে তার স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বক্তারা।

সংগঠনের সভাপতি আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ'র সভাপতিত্বে সভায় অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক মাহবুবউল্লাহ, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মনিরুল হক চৌধুরী, জাতীয় দলের সৈয়দ এহসানুল হুদা, এলডিপির শাহাদাত হোসেন সেলিম প্রমুখ নেতারা বক্তব্য রাখেন।