করতোয়ায় নৌকাডুবি: মৃত বেড়ে ৬৮

করতোয়ায় নৌকাডুবি: মৃত বেড়ে ৬৮

পঞ্চগড়ে করতোয়ায় নৌকাডুবির তৃতীয় দিনে আরও ১৮ জনের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। এ নিয়ে ৬৮ মরদেহ উদ্ধার হলো।

নদীর পানি নামতে শুরু করায় নদীর তলদেশে কাঁদার মধ্যে আটকে পড়া মরদেহ উদ্ধার অভিযান সফল হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে ভাটির ৩০ কিলোমিটার অংশে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দলের সদস্যরা স্থানীয়দের সহায়তায় নদীতে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। ফায়ার সার্ভিসের দিনাজপুর অঞ্চলের সহকারী পরিচালক মঞ্জিল হক সরাসরি এই উদ্ধার কাজে তদারকি করছেন। উদ্ধারকৃত মরদেহগুলো সনাক্ত করে স্বজনদের হাতে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।

ভয়াবহ এ দুর্ঘটনায় এখনও নিখোঁজ রয়েছেন অন্তত ৫ জন । নিখোঁজদের উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত থাকবে জানান ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল। গতকাল উদ্ধার কাজ সমাপ্তি করে আজ সকাল ৬টা থেকে আবারও উদ্ধার কাজ শুরু করে। ফায়ার সার্ভিসের সদস্যদের সহযোগিতা করছে স্থানীয় মানুষরা।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এর সহকারী পরিচালক মঞ্জিল হক জানায়, সকাল থেকেই উদ্ধার অভিযান শুরু হয়েছে। বিকেল ৫টা পর্যন্ত ১৮টি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূল এবং নদীর পানি শুকিয়ে যাওয়ার কারণে মরদেহ উদ্ধার সম্ভব হবে।

উল্লেখ্য, গত রবিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) শারদীয় দুর্গোৎসবের মহালয়া উপলক্ষে দুপুরে আউলিয়া ঘাট থেকে একটি শ্যালো ইঞ্জিনচালিত নৌকায় বড়শশী ইউনিয়নের বদেশ্বরী মন্দিরের দিকে যাচ্ছিলেন তারা। ঘাট থেকে নৌকাটি কিছু দূর যাওয়ার পরই ডুবে যায়।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, বোদা উপজেলার মাড়েয়া ইউনিয়নের করতোয়া নদীর অপরপাড়ে বদেশ্বরী মন্দিরে মহালয়া পূজা উপলক্ষে প্রতিবছরের মতো এবারও ধর্মসভার আয়োজন করা হয়। রোববার দুপুরের দিকে মূলত ওই ধর্মসভায় যোগ দিতে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা নৌকাযোগে নদী পার হচ্ছিলেন। তবে ৫০ থেকে ৬০ জনের ধারণ ক্ষমতার নৌকাটিতে দেড় শতাধিক যাত্রী ছিল। অতিরিক্ত যাত্রীর কারণে নদীর মাঝপথে নৌকাটি ডুবে যায়। অনেকে সাঁতার জানায় তীরে আসতে পারলেও সাঁতার না জানা বিশেষ করে নারী ও শিশুরা পানিতে ডুবে যায়। মনে করা হচ্ছে স্রোতের কারণে অনেক মরদেহ পানিতে ভেসে যেতে পারে।

পঞ্চগড়ের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট দীপঙ্কর রায় জানান, নিহতদের প্রত্যেকের পরিবারকে মরদেহ সৎকারের জন্য ২০ হাজার টাকা দেওয়া হচ্ছে।