১০ হাজার ঘর, ৬ হাজার হেক্টর জমি ও ১ হাজার মাছের খামার ক্ষতিগ্রস্ত

১০ হাজার ঘর, ৬ হাজার হেক্টর জমি ও ১ হাজার মাছের খামার ক্ষতিগ্রস্ত

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের কারণে সারা দেশের ৪১৯টি ইউনিয়নে আনুমানিক ১০ হাজার ঘরবাড়ি, ৬ হাজার হেক্টর জমি ও ১ হাজার মাছের খামার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মারা গেছেন মোট ৯ জন।

সোমবার (২৪ অক্টোবর) সচিবালয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান।

তিনি আরও বলেন, সিত্রাং প্রবল ঘূর্ণিঝড় বা সুপার সাইক্লোন কোনটাতে রূপ নেয়নি। বাতাসের গতিবেগ আশি কিলোমিটারের উপরে যায়নি। ঘোষিত সময়ের অনেক আগেই অনেক দ্রুত গতিতে আমাদের উপকূল অতিক্রম করেছে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং। সতর্কতার শুরু থেকেই আমাদের মাঠ প্রশাসন কাজ করেছে। ফলে ৬ হাজার ৯২৫টি আশ্রয় কেন্দ্রে প্রায় ১০ লক্ষাধিক লোককে আমরা নিরাপদে নিয়ে আসতে পেরেছিলাম।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে সব ধরণের খাবার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। ঘূর্ণিঝড়টি যেহেতু রাত দশটার পরেই বাংলাদেশ অতিক্রম করে সেহেতু আশ্রিত লোকজন মধ্যরাত থেকে আশ্রয় কেন্দ্র ত্যাগ করে বাড়িতে যাওয়া শুরু করে।

তিনি আরও বলেন, উপকূলীয় জেলাগুলো ছাড়াও ঘূর্ণিঝড়টি কুমিল্লা, বাহ্মণবাড়িয়া, গোপালগঞ্জে আঘাত হেনেছে। তবে বর্তমানে ঘূর্ণিঝড়ের কোন প্রভাব নেই। সব জায়গায় সূর্য উঠেছে। উজ্জ্বল দিন বিরাজ করছে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, তবে চট্টগ্রামসহ অনেক জায়গায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। বিদ্যুৎ কিছু কিছু জায়গায় বিচ্ছিন্ন ছিল। যোগাযোগও বিচ্ছিন্ন ছিল কিছু কিছু জেলায়। তবে সেগুলো এখন আবার মেরামত করে, দ্রুতই সংযোগ স্থাপন করা হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, এর প্রভাবে গাছে চাপা পড়ে মোট ৯জনের মৃত্যু হয়েছে। সব মৃত্যুর কারণ, ঘরের ওপর গাছ পড়া। এরমধ্যে গোপালগঞ্জের দুজনকে ২৫ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ঝড়ে ঘরবাড়ি মেরামতের জন্য টিন ও নগদ অর্থ দেওয়া হবে। আগামী বুধবার (২৬ অক্টোবর) থেকে এ সহায়তা দেওয়া শুরু হবে। প্রকৃত ক্ষতির চিত্র জানতে আরও ১৫ দিন অপেক্ষা করতে হবে।