ফারদিনের মৃত্যুর তথ্য র‍্যাব-ডিবি থেকে জানুন: সাংবাদিকদের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

ফারদিনের মৃত্যুর তথ্য র‍্যাব-ডিবি থেকে জানুন: সাংবাদিকদের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) শিক্ষার্থী ফারদিন নূর পরশের মৃত্যু নিয়ে তদন্তে পাওয়া তথ্যের বিষয়ে র‍্যাব ও ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।

শুক্রবার মহান বিজয় দিবস স্মরণে রাজধানীর রাজারবাগ শহীদ স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আসাদুজ্জামান খান এমন পরামর্শ দেন। পুষ্পস্তবক অর্পণ অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রধান অতিথি ছিলেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন।

সাংবাদিকদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, আমার মনে হয়, আমাদের র‍্যাব, আমাদের ডিবি, বিষয়টি (ফারদিনের মৃত্যু) সুন্দর করে বিশ্লেষণ করে বলেছে। কাজেই আপনাদের (সাংবাদিক) কিছু জানার থাকলে সেখান থেকে জেনে নিন।

প্রসঙ্গত, নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদী থেকে ফারদিনের লাশ উদ্ধারের ৩৭ দিন পর গত বুধবার ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ দাবি করে, ফারদিন ‘আত্মহত্যা’ করেছেন। একই দাবি করেছে র‍্যাব। তবে র‍্যাব ফারদিনের মৃত্যুকে স্বেচ্ছামৃত্যু বলে দাবি করেছে।

দুটি সংস্থাই বলেছে, গত ৪ নভেম্বর দিবাগত রাত ২টা ৩৪ মিনিটে ফারদিন ঢাকার ডেমরার সুলতানা কামাল সেতু থেকে স্বেচ্ছায় শীতলক্ষ্যা নদীতে লাফ দেন।

তবে র‍্যাব ও ডিবির এমন দাবি মানতে নারাজ ফারদিনের বাবা। গতকাল বৃহস্পতিবার ফারদিনের বাবা কাজী নূরউদ্দিন রানা বলেন, আমার ছেলে আত্মহত্যা করতে পারে না। তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। পরিকল্পিতভাবে হত্যার পর এখন আত্মহত্যার নাটক সাজানো হচ্ছে।

এর আগে অবশ্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের চনপাড়াকেন্দ্রিক অপরাধী চক্র ফারদিনকে খুন করে থাকতে পারে।

গত ৪ নভেম্বর রাজধানীর রামপুরা থেকে নারায়ণগঞ্জের রুপগঞ্জ এলাকায় যান বুয়েটছাত্র ফারদিন নূর পরশ। নিখোঁজের তিনদিন পর (৭ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৬টার দিকে নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদী থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে নৌ-পুলিশ।

এ ঘটনায় ফারদিনের বান্ধবী বুশরাসহ অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ‘হত্যা করে লাশ গুম’ করার অভিযোগে রামপুরা থানায় মামলা দায়ের করা হয়। ফারদিনের বাবা নূর উদ্দিন রানা বাদী হয়ে ওই মামলা করেন।

মামলার পর গত ১০ নভেম্বর ফারদিনকে হত্যা করে মরদেহ গুম করার অভিযোগে রাজধানীর রামপুরা এলাকার একটি বাসা থেকে বুশরাকে গ্রেপ্তার করা হয়।