এলসি সংকট রমজানে নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ে শঙ্কা

এলসি সংকট রমজানে নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ে শঙ্কা

দু’মাস। এরপরই রমজান। আসন্ন এই মাসে নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্য নিয়ে এখনই শঙ্কা তৈরি হয়েছে সংশ্লিষ্টদের মাঝে। রমজানকে লক্ষ্য করে অসাধু ব্যবসায়ীচক্রও বেশ সক্রিয়। বিশেষ করে রমজাননির্ভর পণ্যগুলোর দাম তিন মাস আগেই বেড়েছে। পণ্যগুলো হচ্ছে- চিনি, ভোজ্য তেল, ছোলা, ডাল, খেজুর, আদা ও রসুন। রমজান সামনে রেখে এসব পণ্য ভয় ধরাচ্ছে সবাইকে। আরেক পণ্য পিয়াজের বাজার তো কয়েক মাস ধরেই চড়া। ইতিমধ্যেই গত রমজানের তুলনায় এবার পণ্যের দাম ৩০ শতাংশ বেশি বাড়ার আশঙ্কা করেছে ট্যারিফ কমিশন। সবকিছু বিবেচনায় নিয়েই এবার বাকিতে রমজাননির্ভর পণ্য আমদানির সুযোগ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

বায়ার্স ও সাপ্লায়ার্স ক্রেডিটের মাধ্যমে এসব পণ্য আমদানি করা যাবে। তারপরেও আমদানিকারক, ব্যবসায়ী, ব্যাংকাররা সন্তোষ প্রকাশ করলেও নিজেরাই আশ্বস্ত হতে পারছেন না। শীর্ষস্থানীয় আমদানিকারকরা বলছেন, জটিলতার মধ্যেও যেসব এলসি’র পণ্য বন্দরে আসছে, ডলার সংকটের কারণে তা খালাস করা যাচ্ছে না। ব্যাংকিং জটিলতায় এলসি খুলতে পারছেন না মধ্যম সারির ব্যবসায়ীরা। ফলে করোনার সময়ের তুলনায় ভোগ্যপণ্য আমদানি অনেকটা কমেছে।

তারা জানিয়েছেন, ডলারে আমদানি মূল্য পরিশোধ করতে না পারায় নিত্যপণ্য বহনকারী দু’টি জাহাজ থেকে পণ্য খালাস করা যাচ্ছে না। এ দু’জাহাজে করে ব্রাজিল থেকে আমদানি করা ৮০ হাজার টন অপরিশোধিত চিনি রয়েছে। এ ছাড়া বন্দরে আরও ৩টি জাহাজ বন্দরে আটকা। এসব জাহাজে মোট ১ লাখ ৩৫ হাজার টন পণ্য রয়েছে। এ কারণে রমজান মাস নিয়ে তৈরি হয়েছে আগাম শঙ্কা। এ সুযোগে এখন থেকেই দাম বাড়ানো শুরু করেছে একটি অসাধু চক্র। সূত্র জানায়, পণ্য আমদানির জন্য রমজান মাস শুরুর ৪ থেকে ৫ মাস আগে এলসি খুলতে হয়। কিন্তু ডলার সংকটের কারণে উদ্যোক্তারা এলসি খুলতে পারছিলেন না।

এক মাস আগে রোজার পণ্য আমদানিতে এলসি খোলার জন্য বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে নির্দেশনা দেয়া হয়। এ খাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ডলার জোগান দেয়ার প্রতিশ্রুতিও দেয়া হয়। কিন্তু তারপরও এলসি খোলা প্রত্যাশিত হারে বাড়ছে না। এ পরিপ্রেক্ষিতে রমজাননির্ভর পণ্য আমদানিতে স্বল্পমেয়াদি বৈদেশিক ঋণ নেয়ার সুযোগ দেয়া হয়। ডলার সংকট মোকাবিলায় ব্যাংকগুলোকে এ ধরনের ঋণের মাধ্যমে পণ্য আমদানির এলসি খোলার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। সাধারণত ৩ থেকে ৪ মাসের মধ্যে এ সংক্রান্ত ঋণ পরিশোধ করতে হয়। কিন্তু এর মেয়াদ ৬ মাস বাড়িয়ে দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ফলে ডিসেম্বর পর্যন্ত বকেয়া ঋণ জুনের মধ্যে পরিশোধের সময় পাওয়া যাবে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, সময়মতো খালাস করতে পারলে এবং আগামী ১৫ই ফেব্রুয়ারির মধ্যে ঘাটতি এলসি ছাড়তে পারলে রমজানে নিত্যপণ্যের কোনো সমস্যা হবে না। এদিকে ৮টি নিত্যপণ্যের সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে বাণিজ্যিক ব্যাংক, আমদানিকারক ও সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের নির্দেশনা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। আমদানিকারকেরা বেশির ভাগ নিত্যপণ্যের আমদানি স্বাভাবিক থাকার কথা জানালেও ভরসা পাচ্ছে না মানুষ।

নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের অবস্থা: বাণিজ্য মন্ত্রণালয় তথ্যমতে, দেশে ভোজ্য তেলের চাহিদা প্রায় ২০ লাখ টন। আর রমজানে চাহিদা ৩ লাখ টন। এর মধ্যে দেশে উৎপাদিত হয় ২ লাখ টন। আমদানি করতে হয় ২০ লাখ টন। দেশে চিনির চাহিদাও রয়েছে ২০ লাখ টন। রমজানে চাহিদা ৩ লাখ টন। দেশে উৎপাদিত হয় ৩০ হাজার টন। আমদানি করতে হয় ২০-২২ লাখ টন। মসুর ডালের চাহিদা ৬ লাখ টন। রমজানে চাহিদা ১ লাখ টন। দেশে উৎপাদিত হয় ২.২ লাখ টন। আমাদানি করতে হয় ৪ লাখ টন। দেশে পিয়াজের চাহিদা ২৫ লাখ টন। রমজানে চাহিদা ৪ লাখ টন। দেশে উৎপাদিত হয় ২৭.৩০ লাখ টন। আর আমদানি করতে হয় ৬-৭ লাখ টন। ছোলার চাহিদা দেড় লাখ টন। রমজানে চাহিদা ১ লাখ টন। দেশে উৎপাদন হয় ০.৪৬ টন। আমদানি করতে হয় ২ লাখ টন।

দেশে বছরে ১ লাখ টন খেজুরের চাহিদা রয়েছে। এর মধ্যে রমজানেই চাহিদা ৫ হাজার টন। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, দেশে গত জুলাই-ডিসেম্বর সময়ে ভোজ্য তেল আমদানি হয়েছে ৯ লাখ ৮২ হাজার টন। চিনি আমদানি হয়েছে ৬ লাখ ৮৫ হাজার টন। ছোলা আমদানি হয়েছে ৫৩ হাজার ৪৭৬ টন। খেজুর আমদানি হয়েছে ১১ হাজার ৭৭৩ টন। মসুর ডাল আমদানি হয়েছে ১ লাখ ৯৮ হাজার টন। পিয়াজ আমদানি হয়েছে ৩ লাখ ৭৬ হাজার টন। রমজানে নিত্যপণ্য সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে ডিসেম্বরের মাঝামাঝি বিজ্ঞপ্তি জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে বলা হয়, ২০২৩ সালের ৩১শে মার্চ পর্যন্ত ভোজ্যতেল, ছোলা, ডাল, মটর, পিয়াজ, মসলা, চিনি ও খেজুর ৯০ দিনের সাপ্লায়ার্স বা বায়ার্স ক্রেডিটের আওতায় আমদানির সুযোগ পাবেন ব্যবসায়ীরা। এতে এলসি’র অনিশ্চয়তা অনেকটা কমেছে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।

সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংককে চিঠি দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এর পর জানুয়ারিতে এলসি খোলা-সংক্রান্ত জটিলতা কেটে যাবে বলে আশ্বস্ত করেছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। কিন্তু এখন পর্যন্ত পরিস্থিতির কোনো উন্নতি হয়নি জানিয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় চিঠিতে লিখেছে, ‘বরং জানুয়ারি মাসে ভোজ্য তেল ও চিনি আমদানির জন্য আরও কম এলসি খোলা সম্ভব হয়েছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কেন্দ্রীয় ব্যাংককে বলেছে, বিদ্যমান ডলার সংকট ও আমদানি ঋণপত্র (এলসি) খোলায় অন্যান্য সমস্যার সুরাহা করা না হলে আসন্ন রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য স্থিতিশীল রাখা সম্ভব হবে না।

চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘এলসি কনফার্মেশন ও পেমেন্ট না হওয়ার কারণে প্রতিদিন (ব্যবসায়ীদের) প্রচুর অর্থ ক্ষতিপূরণ দিতে হচ্ছে এবং পণ্য আমদানির ব্যয় বাড়ছে। ব্যবসায়ীরা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে জানিয়েছে, মার্চে রোজার শুরুতে পণ্য সরবরাহ নিশ্চিত করতে হলে ডিসেম্বর ও জানুয়ারির মধ্যে এলসি খুলতে হবে। কিন্তু গত দুই মাসে বেশির ভাগ পণ্যের এলসি খোলার হার আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় অনেক কমে গেছে। ভোগ্যপণ্যের অন্যতম জায়ান্ট সিটি গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক বিশ্বজিৎ সাহা বলেন, রমজানের চাহিদা অনুযায়ী পণ্যের সরবরাহ ঠিক রাখতে চলতি জানুয়ারি মাসে ভোজ্য তেল, চিনি ও মসুর ডালের মতো অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের আমদানির জন্য ৩৮৫ মিলিয়ন ডলারের এলসি খোলার জন্য তারা বিভিন্ন ব্যাংকের দ্বারস্থ হলেও ডলার সংকটের কারণে তা খুলতে পারেননি। একই অবস্থা আরেক শীর্ষস্থানীয় ভোগ্যপণ্য সরবরাহকারী টিকে গ্রুপেরও। গ্রুপটির পরিচালক মো. শফিউল আতহার তাসলিম বলেন, এলসি খোলার ক্ষেত্রে বলার মতো কোনো উন্নতি হয়নি। চাহিদা অনুযায়ী পণ্য আমদানির এলসি খুলতে আমরাও চেষ্টা করছি, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ও চেষ্টা করে যাচ্ছে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, রমজানে ভোজ্য তেল, চিনি, ছোলা, পিয়াজ, খেজুর, ডালসহ কয়েকটি নিত্যপণ্যের চাহিদা দ্বিগুণ হয়ে যায়। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য মতে, ২০২১ সালের জুলাই-ডিসেম্বরের তুলনায় গত বছরের একই সময়ে চিনি আমদানি ২ লাখ টনের বেশি কমে গেছে। গত ডিসেম্বরে অপরিশোধিত চিনি আমদানির এলসি খোলা হয়েছে মাত্র ৬৯ হাজার ৫২ টনের, আগের বছরের একই সময়ে এর পরিমাণ ছিল ২ লাখ ৫ হাজার ১১৯ টনের। অন্যদিকে গত ডিসেম্বরে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ক্রুড সয়াবিনের এলসি খোলার পরিমাণ আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় অর্ধেকে নেমে গেছে। অথচ গত বছরের ডিসেম্বরে এ দু’টি পণ্যের এলসি খোলা হয়েছিল প্রায় ৩৭,০০০ টনের। আগের বছরের শেষ ছয় মাসের তুলনায় ২০২২ সালের একই সময়ে ছোলা আমদানি কমেছে ১৪ হাজার ১৬৪ টন। এ বছর ডিসেম্বরে ছোলা আমদানির এলসি খোলা হয়েছে ১৯ হাজার ৮১৮ টনের, আগের বছরের একই সময়ে এর পরিমাণ ছিল ৭২ হাজার ৯৩৩ টন। বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক জানান, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক কোম্পানিগুলোর এলসি খোলার তথ্য নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করছে বলেও জানান তিনি।

কৃষি পণ্যের আমদানিকারক ও শ্যামবাজার কৃষিপণ্য আড়ত বণিক সমিতির সহ-সভাপতি হাজী মাজেদ জানান, আমদানি কম হওয়ার একটি বড় কারণ হলো, শতভাগ মার্জিন দিয়ে অনেক ব্যবসায়ী এলসি খুলতে পারছেন না। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এএইচএম সফিকুজ্জামান জানান, বিশ্ববাজারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ডলারের বাড়তি দামের কারণে আদা, রসুনের দাম সর্বোচ্চ ২৫ শতাংশ বৃদ্ধির কথা থাকলেও পণ্যগুলো অনেক বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। এদিকে চিনির বাজারও উত্তপ্ত। এখনই প্রতিকেজি চিনি ১২০ টাকার নিচে পাওয়া যাচ্ছে না। আগামী ফেব্রুয়ারি মাস থেকে নতুন করে প্রতিকেজি চিনিতে দাম বাড়বে ৫ টাকা। টিসিবি’র তথ্য অনুযায়ী, গত এক সপ্তাহে চিনির দাম বেড়েছে প্রতিকেজিতে ২ শতাংশের বেশি। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদনে দেখা যায়, ডলার সংকটের কারণে এলসি কমানোর ফলে অক্টোবর-নভেম্বরে আমদানি গড়ে ৬০০ থেকে ৬৫০ কোটি ডলার কমেছে। তথ্য মতে, আলোচ্য সময়ে চিনি আমদানির এলসি খোলা কমেছে ৩৪ শতাংশর বেশি। আমদানি কমেছে ২৬ শতাংশের বেশি।

বাজার পরিস্থিতি: আসন্ন রমজানকে কেন্দ্র করে মাসখানেক আগেই বাজারে বেড়ে গেছে পণ্যের দাম। বিশেষ করে ডাল-ছোলা, আদা-রসুন ও মসলার দাম বেড়েছে আশঙ্কাজনক হারে। রমজানে অতিব্যবহৃত পণ্যের মধ্যে ছোলা, ডাল, ভোজ্য তেল ও খেজুর এক মাসের ব্যবধানে কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা বেড়েছে। রাজধানীর বাজারে গত কয়েক মাসে কেজিতে রসুনের দাম বেড়েছে ২৫-৩০ টাকা, আদার দাম বেড়েছে ২০-৩০ টাকা, ডালের দাম বেড়েছে ১৫-২০ টাকা, ছোলার দাম ৮-১০ টাকা ও খেজুরের দাম কেজিপ্রতি ১০-২৫ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।

ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) বাজার দর বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, গত মাসের তুলনায় মসুরের ডাল ৮.৫৭ শতাংশ, রসুন ৫.৮৮ শতাংশ, আদা ৩.৭০ শতাংশ, খোলা সয়াবিন প্রতি লিটারে ৭.৫৬ শতাংশ, এক লিটারের বোতলজাত সয়াবিন ৪.৭৬ শতাংশ ও লুজ পাম অয়েল ১৮.৭১ শতাংশ বেশি দরে বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া খেজুরের দাম শতাংশে হিসাব না করে দেখালেও সংস্থাটি বলছে, কেজিতে ২০ টাকা বাড়তি দরে বিক্রি হচ্ছে। ছোলা কেজিতে ৫ টাকা বাড়তি দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে প্রতিকেজি ছোলা মানভেদে বিক্রি হয়েছে ৭৫-৮০ টাকা, যা এক মাস আগে বিক্রি হয় ৭০-৭৫ টাকা। প্রতিকেজি মসুরের ডাল মানভেদে বিক্রি হয়েছে ৬৫ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১২৫ টাকা, যা এক মাস আগে বিক্রি হয়েছে ৫৫ থেকে সর্বোচ্চ ১২০ টাকা। প্রতি কেজি রসুন বিক্রি হয়েছে মানভেদে ১৪০ থেকে ২২৫ টাকা, যা এক মাস আগে ছিল ১২০ থেকে ১৮০ টাকা। আদা প্রতি কেজি বিক্রি হয়েছে ১৩০ থেকে ১৭০ টাকা, যা এক মাস আগে ছিল ১০০ থেকে ১৬০ টাকা। ভোজ্য তেলের মধ্যে প্রতিলিটার খোলা সয়াবিন বিক্রি হয়েছে ১৯৩ থেকে ১৯৫ টাকা, যা এক মাস আগে বিক্রি হয় ১৮৪ থেকে ১৮৮ টাকা। কোম্পানিভেদে বোতলজাত এক লিটার সয়াবিন বিক্রি হয়েছে ১০৫-১১৫ টাকা, যা এক মাস আগে বিক্রি হয়েছে ১০০-১১০ টাকা। প্রতি লিটার খোলা পাম অয়েল বিক্রি হয়েছে ১৮০-১৮৫ টাকা, যা এক মাস আগে ছিল ১৬৯-১৭০ টাকা। এ ছাড়া মৌসুমেও বাড়তি দরে বিক্রি হচ্ছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য পিয়াজ। কনজ্যুমারস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি ড. গোলাম রহমান বলেন, বর্তমান বাজারে সবকিছুই বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে। তাই রমজান আসার আগেই এ বিষয়টি নিয়ে কঠোর মনিটরিং করে সংশ্লিষ্টদের ব্যবস্থা নিতে হবে।