ই-অরেঞ্জের লেনদেনের বিপরীতে ভ্যাট, ট্যাক্স ও শুল্ক আদায় বিষয়ে এনবিআর চেয়ারম্যান প্রতিবেদন দাখিল না করায় উষ্মা প্রকাশ করেছেন হাইকোর্ট। রাষ্ট্রপক্ষের উদ্দেশ্যে হাইকোর্ট বলেন, উনি (এনবিআর চেয়ারম্যান) কেন আদালতের আদেশ ফলো করছেন না? কারণ কী? উনি নিজেকে কি সম্রাট ভাবেন? রোববার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এসব কথা বলেন।
এর আগে হাইকোর্ট এক আদেশে ই-অরেঞ্জের পৃষ্ঠপোষক ও বরখাস্ত হওয়া বনানী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শেখ সোহেল রানাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে সরকারের উদ্যোগ এবং ই-অরেঞ্জের লেনদেনের বিপরীতে রাজস্ব আদায় বিষয়ে জানাতে স্বরাষ্ট্র সচিব, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যানসহ বিবাদীদের নির্দেশ দেন। কিন্তু এনবিআর চেয়ারম্যান প্রতিবেদন না দেয়ায় হাইকোর্ট বেঞ্চ ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আদালতকে বলেন, শেখ সোহেল রানার বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারি হয়েছে, যার নম্বরও উল্লেখ করা হয়েছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের রিপোর্ট পাইনি। তখন আদালত বলেন, এনবিআরকে জানিয়েছিলেন কি? জবাবে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, বার বার অনুরোধ করা হয়েছে, গুরুত্ব দেখা যাচ্ছে না।
তখন আদালত বলেন, এনবিআরেরটিসহ দুটি প্রতিবেদন একসঙ্গে দেবেন। একপর্যায়ে আদালত বলেন, এনবিআরের চেয়ারম্যান কে? তখন আইনজীবী এম আবদুল কাইয়ুম বলেন, আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম। জবাবে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেলের উদ্দেশ্যে আদালত বলেন, আমরা লাস্ট চান্স দিলাম। এটি দেখেন। বলে দেবেন, এবার প্রতিবেদন না দিলে ডাকা হবে। রেড নোটিশ জারি না হয়ে থাকলে, জারির ব্যবস্থা বা কী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে, তা দেখবেন।
যে তথ্য চাওয়া হয়েছে, তা দিতে এনবিআরের চেয়ারম্যানকে বলবেন। এই দুটি দেন। বিষয়টি ২৭শে মার্চ কার্যতালিকায় আসবে।