সাংবাদিক জুলকারনাইনের ভাইয়ের ওপর হামলা, যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগ, তদন্ত দাবি

সাংবাদিক জুলকারনাইনের ভাইয়ের ওপর হামলা, যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগ, তদন্ত দাবি

বৃটেন প্রবাসী সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়ের খান সামির ভাই মাহিনুর আহমেদ খানের ওপর হামলার ঘটনায় তদন্ত ও বিচারের আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

শুক্রবার এক বিবৃতিতে ঢাকাস্থ যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস এই আহবান জানিয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের ভারপ্রাপ্ত মুখপাত্র ব্রায়ান শিলার বিবৃতিতে বলেন, বৃটেন ভিত্তিক সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়ের খান সামির ভাই মাহিনুর আহমেদ খানের ওপর হামলার বিষয়ে আমরা অবগত। আমরা মাহিনুর আহমেদ খানের দ্রুত আরোগ্য কামনা করি এবং আশা করি ঘটনাটি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তদন্ত করা হবে এবং অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনা হবে।

মানবাধিকারকর্মীদের পরিস্থিতি বিষয়ক জাতিসংঘের বিশেষ র‌্যাপোর্টিয়ার ম্যারি ললোরও এ ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়েছেন। তিনিও দ্রুত এ ঘটনার তদন্ত এবং জুলকারনাইনের পরিবারের সুরক্ষা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন।

জুলকারনাইনের ভাইয়ের ওপর হামলার প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশি জার্নালিস্ট ইন ইন্টারন্যাশনাল মিডিয়া (বিজেআইএম)। ওই ঘটনার তদন্ত ও হামলাকারীদের আইনের আওতায় এনে বিচারের দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।

এদিকে জুলকারনাইন ফেসবুকে এক পোস্টে অভিযোগ করেছেন, মাহিনুরকে মারধর করার সময় তার (জুলকারনাইন) সাংবাদিকতা করা ও সরকারবিরোধী কথা বলার বিষয় হামলাকারীরা উল্লেখ করেছেন।

উল্লেখ্য, মাহিনুর আহমেদ খান গত ১৭ই মার্চ রাত ৮টার দিকে রাজধানীর মিরপুরে তার বাড়ির বিপরীতে অবস্থিত একটি দোকানে ঘড়ির ব্যাটারি কিনে ফেরার পথে দুর্বৃত্তদের হামলার শিকার হন।

মাহিনুরের স্ত্রী রুবাইদা রাখী গণমাধ্যমকে বলেন, হামলাকারীরা মাহিনুর আহমেদ খানকে লোহার রড দিয়ে এতটাই মারধর করেছে যে, তার পায়ের লিগামেন্ট ছিঁড়ে গেছে। তাকে তাৎক্ষণিক রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নিতে হয়। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তারা মিরপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

হামলার ঘটনায় শুক্রবার ঢাকার মিরপুর মডেল থানায় অজ্ঞাতনামা চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন মাহিনুর আহাম্মেদ খান। 

এজাহারে মাহিনুর আহাম্মেদ খান বলেন, ১৭ মার্চ রাত আটটার দিকে মিরপুরের পশ্চিম শেওড়াপাড়ায় বাসার সামনের একটি মুদিদোকান থেকে ঘড়ির ব্যাটারি কিনতে বের হন তিনি। বাসার সামনের রাস্তায় হঠাৎ করে চারজন পেছন থেকে রড ও লাঠি দিয়ে তাকে এলোপাতাড়ি মারতে শুরু করেন। ‘নতুন সাংবাদিক হয়েছ, দেশ নিয়ে লেখো’—এই কথা বলে তারা মারধর করতে থাকেন। তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন চলে এলে তারা হুমকি দিয়ে ও ভয় দেখিয়ে পালিয়ে যান।

মাহিনুরের ভাষ্যমতে, তিনি কখনো সাংবাদিকতা করেননি। ফেসবুকেও সরকারবিরোধী কিছু লেখেননি। তিনি একজন ফ্রিল্যান্সার। তবে তার ভাই জুলকারনাইন সায়ের খান সাংবাদিকতা করেন। হামলার পরদিন তার স্ত্রী মিরপুর মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।