ঈদের দ্বিতীয় দিনেও কমলাপুরে ঘরমুখো মানুষের ভিড়

ঈদের দ্বিতীয় দিনেও কমলাপুরে ঘরমুখো মানুষের ভিড়

ঈদের দ্বিতীয় দিনেও রাজধানীর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে ঘরমুখো মানুষের ভিড়। পরিবার-পরিজনের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতে কেউ একা, আবার কেউবা সপরিবারে বাড়ির পথ ধরছেন।

রোববার (২৩ এপ্রিল) সকাল থেকে বাড়ি ফেরা মানুষের এমন চিত্র দেখা যায়।

ঈদ উদযাপন করতে রাজধানীর বেশির ভাগ মানুষ ঈদের আগেই বাড়ি চলে গেলেও ব্যবসায়ী ও শ্রমজীবীদের একটি বড় অংশ জীবিকার তাগিদে ঢাকায় থেকে যান। তারাই এখন পরিবারের সঙ্গে ছুটি কাটাতে বাড়ি যাচ্ছেন। শুধু ব্যবসায়ী বা শ্রমজীবী নয়, ট্রেনের অগ্রিম টিকিট না পাওয়া অনেকেও বাড়ি যেতে দেখা যায়।

মঈন নামে এক ব্যবসায়ী বলেন, চানরাতে মাঝরাত পর্যন্ত দোকান করতে হয়েছে। তাই ঈদ ঢাকায় করে এখন বাড়ি যাচ্ছি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক যাত্রী বলেন, ঈদের আগে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট কাটতে পারিনি। সড়কেও যানজটের কারণে ছোট বাচ্চাকে নিয়ে ঈদের আগে বাড়ি যাইনি। ঈদের পর যেহেতু ট্রেনগুলো ঢাকা থেকে ফাঁকা ছাড়ে, তাই এখন যাচ্ছি।

এদিকে এদিন ভোর থেকে সকাল সোয়া ৭টা পর্যন্ত কমলাপুর স্টেশনের প্ল্যাটফর্মের ডিজিটাল স্ক্রিনে ট্রেনের শিডিউল দেওয়া বন্ধ ছিল। এতে নিজ গন্তব্যের ট্রেন পেতে ভোগান্তি পোহাতে হয় যাত্রীদের। তবে মাইকে ট্রেনের শিডিউল জানানোসহ স্টেশনের কর্মরত আনসার ও রেলওয়ে পুলিশকে যাত্রীদের সহায়তা করতে দেখা গেছে।

এবার ঈদের আগে গুটি কয়েক ঘটনা ছাড়া অনেকটা স্বস্তিতেই ট্রেনে বাড়ি ফিরতে পেরেছিলেন ঘরমুখো মানুষ। কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে বজায় ছিল শৃঙ্খলা। কালোবাজারি বন্ধ করতে এবার অগ্রিম টিকিটের শতভাগ অনলাইনে বিক্রি ও টিকিট ছাড়া কাউকে প্ল্যাটফর্মে প্রবেশ করতে না দেওয়ার বিষয়ে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের কড়াকড়ির কারণেই এ স্বস্তি ও শৃঙ্খলা ছিল। যদিও ঈদের আগের দিন শুক্রবার (২১ এপ্রিল) দেওয়ানগঞ্জগামী জামালপুর কমিউটার ও বৃহস্পতিবার (২০ এপ্রিল) সন্ধ্যার পর উত্তরবঙ্গগামী কয়েকটি আন্তঃনগর ট্রেনের যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড় ছিল। এতে কমলাপুর স্টেশনের শৃঙ্খলা কিছুটা ব্যাহত হয়।