হিরো আলমকে পিটিয়েছে আওয়ামী লীগের কর্মীরা

হিরো আলমকে পিটিয়েছে আওয়ামী লীগের কর্মীরা

ভোটকেন্দ্রের ভেতর থেকে ধাওয়া দিয়ে বাইরে আনার পরে রাস্তায় ফেলে ঢাকা-১৭ আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী আশরাফুল হোসেন ওরফে হিরো আলমকে পিটিয়েছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সমর্থকেরা। হামলাকারীরা নৌকা প্রতীকের ব্যাজ পরে ছিলেন।

সোমবার বেলা সোয়া তিনটার দিকে রাজধানীর বনানী এলাকার বনানী বিদ্যানিকেতন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ভোটকেন্দ্র পরিদর্শনে গেলে হিরো আলমের ওপর এ হামলা হয়।

মারধর থেকে বাঁচতে একপর্যায়ে হিরো আলম দৌড়ে পালান। হামলাকারীরা এ সময় তাকে পেছন থেকে ধাওয়া দেন। হিরো আলম একপর্যায়ে বনানীর ২৩ নম্বর সড়কে গিয়ে একটি রিকশায় ওঠেন। পরে গাড়িতে করে চলে যান।

আজ বেলা তিনটার দিকে বনানী বিদ্যানিকেতন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ভোটকেন্দ্র পরিদর্শনে গিয়েছিলেন হিরো আলম। সেখানে তিনি একটি নারী ভোটকেন্দ্রে যান। এ সময় নৌকা প্রতীকের কর্মী ও সমর্থকেরা পেছন থেকে হিরো আলমকে গালমন্দ করতে থাকেন এবং কেন্দ্র থেকে বেরিয়ে চলে যেতে বলেন। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হলে কেন্দ্রটির দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্যরা হিরো আলমকে ঘিরে রেখে স্কুলের ফটকের দিকে নিয়ে যান। তখনো পিছু নেন হামলাকারীরা।

স্কুলের প্রাঙ্গণ থেকে বেরুনোর পরে হিরো আলমের পাশে পুলিশ সদস্যরা ছিলেন না। স্কুল থেকে বের হয়ে ফটকের সামনে দিয়ে সোজা ১৬ নম্বর সড়কের দিকে দ্রুত এগোতে থাকেন হিরো আলম। একপর্যায়ে হামলাকারীরা হিরো আলমকে ধাক্কা দিয়ে রাস্তায় ফেলে দেন, তখন তাকে এলোপাতাড়ি মারধর করেন তাঁরা।

হিরো আলমের সঙ্গীরা তাকে রক্ষা করে সামনের দিকে নিয়ে যান। ২৩ নম্বর সড়কের এ ব্লক পর্যন্ত তাকে পেছন থেকে ধাওয়া করে হামলাকারীরা।

হিরো আলমের উদ্দেশে হামলাকারী নৌকার সমর্থকদের বলতে শোনা যায়, ‘সে করে টিকটক, সে হলো জোকার, সে কেন গুলশান-বনানীর এমপি হতে চায়? এমপির মানে সে জানে?’

কেউ কেউ আবার বলছিলেন, ‘তারে খালি দৌড়ানি দে, মারধর করা লাগব না।’

হামলা প্রসঙ্গে হিরো আলম বলেন, ‘শুরু থেকেই নানাভাবে আমাকে বাধা দেওয়া হচ্ছিল। ৩টার দিকে বনানী বিদ্যানিকেতনে গেলে জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে একদল উশৃঙ্খল যুবক আমার উপর হামলা চালায়। আমাকে বেধড়ক মারে, জামাকাপড় ছিঁড়ে দেয়। হামলাকারী সবাই সরকারদলীয় ছাত্রলীগ-যুবলীগের।’