সীমান্তে অস্থিরতা কমলেও কাটেনি আতঙ্ক, দুশ্চিন্তায় ৫ শতাধিক এসএসসি পরীক্ষার্থী

সীমান্তে অস্থিরতা কমলেও কাটেনি আতঙ্ক, দুশ্চিন্তায় ৫ শতাধিক এসএসসি পরীক্ষার্থী

আর একদিন পরই শুরু এসএসসি পরীক্ষা। তবে সেই পরীক্ষা নিয়ে দুশ্চিন্তার শেষ নেই, সীমান্তবর্তী নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ও আশপাশের এলাকার ৫ শতাধিক পরীক্ষার্থীর। কেননা, দুই সপ্তাহ ধরে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সংঘাতে গোলাগুলির জেরে, এপারে ঘর ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিতে হয়েছে শত শত পরিবারকে। ফলে, ঠিকমতো প্রস্তুতিও নিতে পারেনি পরীক্ষার্থীরা। তাই ঠিকমতো প্রস্তুতি ছাড়াই মাধ্যমিক দিতে হবে সীমান্তের পরীক্ষার্থীদের।

আসিফ শাহরিয়ার আকিব এবারের এসএসসি পরীক্ষার্থী। তিনি বলেন, এখানে অনেক সমস্যা হচ্ছে। কিছুদিন এখানে থাকলে আবার অন্য কোথাও চলে যেতে হয়। এজন্য আমাদের পড়ালেখার সমস্যা হচ্ছে, সামনে আমাদের পরীক্ষা।

শুধু আকিব নয়, বান্দরবানের নাই নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম এলাকার ৫শ ২ জন শিক্ষার্থীর একই অবস্থা। গোলাগুলির শব্দের কারণে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতির চেয়ে তাদের পালিয়ে বেড়াতে হয়েছে বেশির ভাগ সময়। যার প্রভাব পড়ার আশঙ্কা পরীক্ষার খাতায়।

শিক্ষার্থীরা বলেন, আমাদের এখানে ১৫-২০ দিন হলো গোলাগুলি হচ্ছে। সন্ধ্যার দিকে গোলাগুলির শব্দে পড়ার টেবিলে মন বসে না। এতে আমাদের অনেক সমস্যা হচ্ছে।

স্থানীয়রা বলছেন, মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের প্রভাব শুধু বাংলাদেশের হতাহতের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই, ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন শিক্ষার্থীরাও।

ওপারের মুহুরমুহু গোলাগুলির কারণে এপার অনেকটাই হয়ে গিয়েছিল যুদ্ধক্ষেত্র। এমন পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীরা মানসিক বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।

সীমান্ত উত্তেজনার কারণে নিরাপত্তা ইস্যুতে এবার পরিবর্তন করা হয়েছে। ঘুমধুম বিদ্যালয়ে পরীক্ষার কথা থাকলেও পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে উত্তর ঘুমধুম উচ্চ প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং ঘুমধুম প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।

সীমান্ত উত্তেজনার কারণে ২০২৩ সালের এসএসসি পরীক্ষার কেন্দ্র পরিবর্তন করতে হয়েছিল ঘুমধুমে। এবারও বন্ধ রাখতে হয়েছে ছয়টি বিদ্যালয়ের কার্যক্রম।