ডিএনএ রিপোর্টে পিতৃত্বের প্রমাণ: সন্তানকে ৫ বিঘা জমি লিখে দিতে বললেন হাইকোর্ট

ডিএনএ রিপোর্টে পিতৃত্বের প্রমাণ: সন্তানকে ৫ বিঘা জমি লিখে দিতে বললেন হাইকোর্ট

রংপুরের মিঠাপুকুর থানার নারী শিশু নির্যাতনের মামলায় ডিএনএ টেস্ট পরিচয় পেয়ে সন্তানের নামে ৫ বিঘা জমি লিখে দেয়ার শর্তে হাইকোর্ট থেকে জামিন পান বাবা। বিচারপতি শেখ জাকির হোসেন ও বিচারপতি একেএম জহুরুল হকের বেঞ্চ বুধবার (২০ মার্চ) এ নির্দেশ দেন।

চাচাত ভাইয়ের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে সুলতানা বেগমের। একপর্যায়ে সুলতানা বেগম সন্তানসম্ভবা হলে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানায় চাচাত ভাই আসাদুল ইসলাম। সালিশ বৈঠক করেও সমাধান না হওয়ায় মামলা করেন সুলতানা বেগম। ২০০৭ সালে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় দেয় আদালত। এরপর আসাদুল ইসলাম কারাগারে আছে। এর মাঝে কেটে গেছে অনেকগুলো বছর। সুলতানার একটি ছেলে সন্তান হয় যার বয়স এখন ১৫ বছর। ছেলের ভরন পোষণ ও পিতৃত্বের পরিচয় নিয়ে নামতে হয় আইনি লড়াইয়ে। ডিএনএ টেস্ট প্রমাণিত হয় সন্তানের বাবা মা সুলতানা ও আসাদুল ইসলাম।

আসাদুল ইসলাম হাইকোর্টে জামিন নিতে আসলে বুধবার সন্তানকে ৫ বিঘা জমি লিখে দেয়ার শর্ত দেন হাইকোর্ট। আসাদুল পক্ষ থেকে জানানো হয় এত জমি নেই তাদের। পরে হাইকোর্ট বাবার সম্পত্তির অর্ধেক লিখে দিতে নির্দেশ দেন।

এর আগে মামলার শুনানির শুরুতেই দু'পক্ষ হাজির থাকলেও ফাইল পাওয়া যায় নি। এক পর্যায়ে হাইকোর্ট আদেশ দিয়ে ফাইল আনতে বলেন। রংপুরের এমপি অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম সুজনকে আদালত বিষয়টি সমঝোতা করে দিতে বলেন।