সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাতে জিম্মি নাবিকদের উদ্ধারের বিষয়ে শিগগিরই সুখবর পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। তিনি শনিবার বলেছেন, ‘শুধু এটুকুই বলি, নাবিকেরা খুব শিগগির মুক্তি লাভ করবেন ইনশাআল্লাহ, জাহাজটাও মুক্ত করে নিয়ে আসতে পারব। সোমালিয়ার জলদস্যু কর্তৃক ছিনতাই হওয়া জাহাজ ও নাবিকদের উদ্ধারের ব্যাপারে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি আছে।’
বিকালে চট্টগ্রাম নগরের লালদীঘি চত্বরে ‘চাটগাঁইয়া ঈদ আনন্দ উৎসব’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সোমালিয়ায় জিম্মি নাবিকদের নিয়ে কথা বলেন।
গত ১২ মার্চ ভারত মহাসাগর থেকে ২৩ নাবিকসহ বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ ছিনতাই করে সোমালিয়ার জলদস্যুরা। জাহাজটি সোমালিয়া উপকূলে নেওয়ার ৯ দিনের মাথায় দস্যুরা মুক্তিপণের জন্য জাহাজের মালিকপক্ষ কবির গ্রুপের সঙ্গে যোগাযোগ করে। নানা পর্যায়ে দর-কষাকষির পর দস্যুদের সঙ্গে সমঝোতার অগ্রগতি হয়েছে বলে মালিকপক্ষ জানিয়েছে। জিম্মি জাহাজটি এখন সোমালিয়ার গদভজিরান জেলার জেফল উপকূলের দেড় নটিক্যাল মাইল দূরে রয়েছে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, ‘সোমালিয়ার জলদস্যুদের চেয়েও বিএনপি অনেক বেশি ভয়ংকর। কারণ, সোমালিয়ার জলদস্যুরা বাংলাদেশের নাবিকদের ওপর কোনো নির্যাতন চালায়নি। তারা মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করে নাই। কিন্তু বিএনপি তো মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করে। আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীদের নেতৃত্বে বিএনপি অনেক সময় সোমালিয়ার জলদস্যুদের চেয়েও বেশি ভয়ংকর হয়ে ওঠে।’
দেশের মানুষ খুব দুঃখ ও কষ্টের মধ্যে আছে, সাধারণ মানুষ ভালোভাবে ঈদ উদ্যাপন করতে পারেনি—বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন বক্তব্যের বিষয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘হয়তো মির্জা ফখরুল সাহেবদের মনে শান্তি নাই। উনাদের মনে অশান্তি বিধায় বাংলাদেশের মানুষের মনে শান্তি নাই বলছেন। মানুষের মনে সম্প্রীতি ও উৎসব আছে।’
এবার ঈদ অত্যন্ত আনন্দ ও উৎসবের মধ্য দিয়ে উদ্যাপিত হয়েছে উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘মানুষ এখনো ঈদ উৎসবের মধ্যে আছে। আপনারা দেখেছেন ঈদযাত্রাও এবার অনেক নির্ঝঞ্ঝাট ছিল। ঈদের সময় অনেক ঘটনা ঘটে। সে ধরনের দুর্ঘটনা এবার অপেক্ষাকৃত অনেক কম ঘটেছে। মানুষ অত্যন্ত উৎসাহ–উদ্দীপনা নিয়েই ঈদ উদ্যাপন করছে।’
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চাটগাঁইয়া ঈদ আনন্দ উৎসব আয়োজক কমিটির সভাপতি জহর লাল হাজারী, সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক চৌধুরী ফরিদ, কাউন্সিলর রুমকি সেন গুপ্তা, চট্টগ্রাম নগর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুরুল আজিম, মো. শাহাবুদ্দিনসহ আয়োজক কমিটির নেতারা।
