ফরিদপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত বেড়ে ১৫, বাস চালককে আসামি করে মামলা

ফরিদপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত বেড়ে ১৫, বাস চালককে আসামি করে মামলা

ফরিদপুরে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় পপি বেগম (২৫) নামে আরও এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫। এ ঘটনায় ফরিদপুর কোতয়ালী থানায় বাস চালককে আসামি করে ইমামুল শেখ নামে নিহতের এক স্বজন মামলা করেছেন।

পপি বেগম একই দুর্ঘটনায় নিহত ইকবাল শেখের স্ত্রী। বুধবার দুপুরে আলফাডাঙ্গা উপজেলার হিদাডাঙ্গা গ্রামের বাবার বাড়িতে তার দাফন সম্পন্ন হয়। এ ঘটনায় তাদের দেড়বছর বয়সী একমাত্র ছেলে ইয়াছিন শেখ জীবিত আছে।

বুধবার (১৭ এপ্রিল) বিকালে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোতয়ালী থানার ওসি মো. হাসানুজ্জামান হাসান।

এর আগে মঙ্গলবার সকাল ৮টার দিকে জেলা সদরের তেতুলতলা দিগনগর এলাকার ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে ইউনিক পরিবহন নামে এক যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে একটি পিকআপ ভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে এক পরিবারের চারজনসহ ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ঘটনাস্থলে ১১ জন এবং চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৪ জনের মৃত্যু হয়। নিহতরা সকলেই পিকাপভ্যানের যাত্রী ছিল।

মামলায় বলা হয়, মঙ্গলবার সকাল ৭টা ৪০ মিনিটে নিহতরা ফরিদপুরে যাওয়ার জন্য একটি পিকঅ্যাপ ভ্যানে রওনা দেন। পথে কোতয়ালী থানা এলাকার দিগনগর এলাকায় ফরিদপুর-মাগুরা মহাসড়কে ইউনিক পরিবহন বাসের চালক দ্রুত ও বেপরোয়া গতিতে বাস চালিয়ে পিকঅ্যাপ ভ্যানটি চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলে ১১ জন এবং চিকিৎসাধীন অবস্থায় আমার ভাই ইকবাল শেখসহ তিনজন মারা যায়। আমি বাস চালকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাই।

এদিকে জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, দুর্ঘটনার তদন্তে গঠিত ৭ সদস্যের তদন্ত কমিটি কাজ শুরু করেছে। কমিটি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। ৩ কার্য দিবসের মধ্যে তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন দেওয়ার কথা রয়েছে।

কোতয়ালী থানার ওসি হাসানুজ্জামান হাসান বলেন, রাতেই এক নিহতের ভাই মামলা করেছে। সেখানে বাসটির চালককে আসামি করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।