ফারুক শাহবাগ থানায়: ডিসি

ফারুক শাহবাগ থানায়: ডিসি

ঢাকা, ৩ জুলাই (জাস্ট নিউজ) : কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে তুলে নেয়া কোটা সংস্কার আন্দোলনের যুগ্ম আহ্বায়ক ফারুক হাসান শাহবাগ থানায় আছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মাসুদুর রহমান।

মঙ্গলবার গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করে তিনি জানান, তাকে (ফারুককে) গ্রেফতার দেখানোর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া হচ্ছে। তবে কবে কোন মামলায় গ্রেফতার দেখানো হবে তা জানাননি তিনি।

সোমবার থেকে যোগাযোগ করা হলেও শাহবাগ থানার ওসি এ বিষয়ে এখনও কোনও মন্তব্য করেননি। ফারুকের বিরুদ্ধে কোনও মামলা আছে কিনা তাও জানা সম্ভব হয়নি।

সোমবার শহীদ মিনারে কোটা সংস্কার আন্দোলনের কর্মসূচি চলাকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও আশেপাশের কলেজগুলোর ছাত্রলীগ নেতারা মোটরসাইকেলে দলবেঁধে এসে ফারুক হাসানসহ তিন জনকে বেধড়ক মারধর করে। এরপর অন্য ছাত্রলীগ নেতাদের সহায়তায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজী মুহম্মদ মুহসীন হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান সানি ফারুককে সেখান থেকে তুলে নিয়ে যায় এবং শাহবাগ থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। তবে শাহবাগ থানা পুলিশ এ বিষয়ে কোনও তথ্য প্রকাশ করেনি। নিখোঁজ অপর দুই নেতা মাহফুজ ও জসিম উদ্দিনের ব্যাপারেও কোনও তথ্য দেয়নি পুলিশ।

তবে ফারুককে তুলে নিয়ে যাওয়া ঢাবি শাখার ছাত্রলীগ নেতা মেহেদী হাসান সানি গণমাধ্যমকে বলেন, আমি তাকে সেখান থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে আসলে জনরোষ থেকে রক্ষা করেছি এবং তাকে শাহবাগ থানায় দিয়ে এসেছি। এরপর তার ব্যাপারে পুলিশ কী ভূমিকা নিয়েছে তা আমার জানা নেই।

এর আগে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুন গণমাধ্যমকে বলেন, আমরা তিনজন যুগ্ম আহ্বায়ক মাহফুজ, ফারুক হাসান ও জসিম উদ্দিনের কোনও সন্ধান পাচ্ছি না।

তিনি দাবি করেন, ফারুক হাসানকে মারধরের পর শহীদ মিনার থেকে ও জসিম উদ্দিনকে পাবলিক লাইব্রেরির ভেতর থেকে তুলে নেয়া হয়েছে। এছাড়াও মাহফুজ নামের অপর যুগ্ম আহ্বায়ককে রাশেদ নামে এক কর্মীর বাসা থেকে তুলে নেয়া হয়েছে। কিন্তু পুলিশ কাউকে আটকের কথাই স্বীকার করছে না।

সরকারি চাকরিতে কোটা প্রথা সংস্কারের দাবিতে কয়েক মাস ধরে চলমান ছাত্র আন্দোলন ঢাকাসহ দেশের সব উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছড়িয়ে পড়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষণা দিয়েছেন সরকারি চাকরি থেকে কোটা পদ্ধতি পুরোপুরি তুলে দেওয়া হবে। এরপর বিভিন্ন অনুষ্ঠানে একই কথার পুনরাবৃত্তি করেন তিনি।তবে কবে থেকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হচ্ছে সে বিষয়ে সরকারের সুস্পষ্ট ঘোষণা এখনও আসেনি।

(জাস্ট নিউজ/এমআই/১৬৪০ঘ.)