নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়া নিয়ে শঙ্কা ব্রিটিশ হুইপ এ্যান্ড্রু স্টিফেনসনের

নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়া নিয়ে শঙ্কা ব্রিটিশ হুইপ এ্যান্ড্রু স্টিফেনসনের

ঢাকা, ২৯ ডিসেম্বর (জাস্ট নিউজ) : বাংলাদেশের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে অভূতপূর্ব সন্ত্রাস ও আতঙ্কের পরিবেশের বিষয়ে উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন ব্রিটেনের হুইপ লর্ড চেম্বারলাইন ও হুইপ এ্যান্ড্রু স্টিফেনসন এমপি। আগামীকাল ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়া নিয়ে তিনি বলেন, আমরা চাই বাংলাদেশের পরবর্তী সরকার হবে জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন। নিজেদের পছন্দের দল বা প্রার্থীকে নির্বাচিত করবার অধিকার তাদের আছে, তা যে দলই হোক।

তিনি বলেন, ব্রিটিশ মিডিয়া যারা সাধারণত বাংলাদেশের ব্যপারে উদাসীন তারা খুব পূর্ণভাবে বর্তমান ঘটনাবলী রিপোর্ট করছে। সভ্য দুনিয়ার মতো ব্রিটেনে আমরাও অত্যন্ত উদ্বেগের সাথে বাংলাদেশের ঘটনা প্রবাহ অনুসরণ করছি।

ব্রিটিশ বাংলাদেশী কমিউনিটি এলায়েন্স শুক্রবার (২৮ ডিসেম্বর) একটি সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। এতে উপস্থিত ছিলেন, লর্ড চেম্বারলাইন ও লর্ড কমিশনার ও ব্রিটিশ হুইপ এ্যান্ড্রু স্টিফেনসন এমপি, ইইউ দক্ষিণ এশীয় ট্রেড ডেলিগেশন চেয়ার ডক্টর সাজ্জাদ করিম এম.ই.পি। এলায়েন্সের সেক্রেটারি ফয়জুন নূর উপস্থিত সবাইকে স্বাগত ও ধন্যবাদ জানানোর মধ্য দিয়ে শুরু হওয়া প্রেস রিলিজে মূল বক্তব্য তুলে ধরেন সংগঠনের প্রেসিডেন্ট ব্রিটেনের মূলধারার প্রাক্টিসিং ব্যারিস্টার সৈয়দ আফজাল জামি।

বাংলাদেশের বর্তমান নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি তুলে ধরে তিনি বলেন, ২০০১ সাল থেকে তিনি নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করেন এবং বর্তমানে অর্গানাইজেশন ফর সিকিউরিটি এন্ড কোপেরাটিই ইন ইউরোপ/ওডিআই এইচ আর এর একজন তালিকাভূক্ত পর্যবেক্ষক। শান্তিকালীন সময়ে কোনো দেশে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে এই প্রথম হাসপাতাল গুলোকে প্রস্তুত থাকতে বলেছে নির্বাচনের দায়িত্ব প্রাপ্ত সাংবিধানিক সংস্থা। নির্বাচনকে অবশ্যই বিশ্বাস যোগ্যভাবে স্বচ্ছ এবং গ্রহণ যোগ্য হতে হবে বাংলাদেশের জনগণের এবং বাংলাদেশের উন্নয়ন সহযোগীদের কাছে।

নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ না হলে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সম্পর্ক থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার শঙ্কা জানিয়ে ডক্টর সাজ্জাদ করিম বলেন, আগামী জুন মাসে ইইউ বাংলাদেশের সাথে তার সম্পর্কের একটি পুনর্মূল্যায়ন করবে। তা অত্যন্ত মৌলিক চরিত্রের হবে এবং বাংলাদেশের ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচন সেই সিদ্ধান্তে সবচেয়ে প্রভাবক ভূমিকা রাখবে। এখানে উল্লেখ্য যে আগামী জুন মাসে ইইউতে বাংলাদেশের বাণিজ্য সুবিধার বিষয়টি আলোচিত হবে।

এলায়েন্সের চিফ এডভাইজার বার্নলির সাবেক কাউন্সিলর মুজাক্কির আলী অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করে বলেন, আমরা দিয়াস্পোরার বাসিন্দা হিসাবে সর্বাবস্থায় বাংলাদেশের সাথে সম্পর্ক রাখতে চাই। সরকার নিজেই যখন এরকম নিরাপত্তার সংকট তৈরী করে তখন আমাদের অস্থায় আঘাত আসে। সরকারের এটা বোঝা অতি জরুরি যে আজ বিরোধীদের জন্য আপনি যা চাষ করছেন আগামীকাল নিজের জন্য সেই একই ফসল কাটবেন।

সংবাদ সম্মেলনে টেলি কনফারেন্সের মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে যোগ দেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক রুহুল কবির রিজভী আহমেদ। তিনি এমপিদ্বয়কে তাদের নিরাপত্তাহীন হওয়ার কথা তুলে ধরেন। তিনি জানান, এরকম করে প্রার্থীদের এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের চিহ্নিত করে সারা দেশব্যাপী কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ ও নির্দেশনার মাধ্যমে আক্রমণের লক্ষবস্তু বানানোর সন্ত্রাসী কার্যক্রম আগে কখনো ঘটেনি।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, ব্রাইফিন্ডের সাবেক মেয়র নাওয়াজ আহমেদ, বার্ণলী এন্ড পেন্ডল ফ্রেন্স লীগের চেয়ারম্যান ছাগীর আহমেদ, ট্রেজারার আবিদুল ইসলাম আরজু, দিলু মিয়া, আব্দুল মালিক প্রমূখ।

(জাস্ট নিউজ/এমআই/১০৪৫ঘ.)