তারেক রহমানের নেতৃত্বে সরকার পতনের প্রত্যয়

৭ নভেম্বর জাতীয় ঐক্যের প্রতীক: যুক্তরাষ্ট্রের সমাবেশে বিএনপি মহাসচিব

৭ নভেম্বর জাতীয় ঐক্যের প্রতীক: যুক্তরাষ্ট্রের সমাবেশে বিএনপি মহাসচিব

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস জাতীয় ঐক্যের প্রতীক। ১৯৭৫ সালের ৭ই নভেম্বর সিপাহি-জনতার ঐতিহাসিক বিপ্লব ঘটেছিল, যা দেশের তৎকালীন রাজনীতির গতিধারা পাল্টে দিয়ে দেশ ও জাতিকে নতুন পরিচয়ে অভিষিক্ত করেছিল।

মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির উদ্যোগে নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটে ঐতিহাসিক জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সভায় যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সর্বস্তরের নেতা-কর্মীরা অংশগ্রহণ করেন। বিভাজন এবং অভ্যন্তরীন মতপার্থক্য ভুলে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক শীর্ষ নেতারা ঐক্যবদ্ধ ভাবে এই সমাবেশের আয়োজন করেন। সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হন বিএনপি মহাসচিব।

যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি নেতা গিয়াস আহমেদের সভাপতিত্বে এবং মিজানুর রহমান ভূইয়া মিল্টন ভূইয়া, জসীম উদ্দীন ভূইয়া এবং কাজী আজম এর যৌথ পরিচালনায় আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন সিলেটের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী এবং বিএনপির কেন্দ্রীয় ও আন্তর্জাতিক সম্পাদক কন্ঠশিল্পী বেবী নাজনীন এবং বর্ণাঢ্য এই সমাবেশে সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করেন যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি নেতা জিল্লুর রহমান জিল্লু।

বিপ্লব ও সংহতি দিবসকে দেশের টার্নিং পয়েন্ট উল্লেখ করে মির্জা আলমগীর বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট পরবর্তী সেনা অভ্যুত্থান ও পাল্টা অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে দেশে যখন চরম নৈরাজ্যজনক পরিস্থিতি বিরাজ করছিল, তখন সিপাহি-জনতা মিলিত ঐক্যের এই বিপ্লব দেশ ও জাতিকে অনাকাক্সিক্ষত শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতি থেকে মুক্তি দিয়েছিল। অভূতপূর্ব সেই বিপ্লব-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে সাময়িক বন্দিদশা থেকে মুক্ত হন তৎকালীন সেনাপ্রধান মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান।

সরকারের দুঃশাসন থেকে দেশকে রক্ষা করে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার আন্দোলনে সবাইকে যোগ দেবার আহবান জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, দেশে মানবাধিকার নেই, গণতন্ত্র নেই। শুধু বিএনপি নয় দেশের আপামর জনতাকে সঙ্গে নিয়ে স্বৈরাচার শাসনের অবসান ঘটাতে হবে।

যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির নেতারা দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে সরকার পতনের আন্দোলনে নিজ নিজ অবস্থান থেকে সোচ্চার হবার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

আলোচনায় অন্যান্যের মধ্যে অংশ নেন ডাঃ মজিবুর রহমান মজুমদার, কামাল সাঈদ মোহন, শরাফত হোসেন বাবু, আবদুস সবুর, এডভোকেট জামাল হোসেন জনি, আনোয়ার হোসেন, মন্জুর চৌধুরী, মুক্তিযোদ্ধা বাবর উদ্দিন, নিয়াজ আহম্মেদ জুয়েল, সিনিয়র ডিস্টিক্ট জাজ নুর মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর সরকার, আনোয়ারুল ইসলাম আনোয়ার, ফারুখ হোসেন মজুমদার, জহির মোল্লা, মোশারফ সবুজ, আবু সাঈদ আহমমেদ, মাকসুদুল হক চৌধুরী, এম এ বাতেন, পারভেজ সাজ্জাদ, জাহাঙ্গীর সোহরাওয়ার্দী, আতিকুল আহাদ, সাইফুর খান হারুন এবং মাজহারুল ইসলাম জনি প্রমুখ।