মাহী সংসদে গেলে বি. চৌধুরীর প্রয়োজন নেই: কাদের সিদ্দিকী

মাহী সংসদে গেলে বি. চৌধুরীর প্রয়োজন নেই: কাদের সিদ্দিকী

ঢাকা, ৫ নভেম্বর (জাস্ট নিউজ): কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেছেন, যুক্তফ্রন্টের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. বদরুদ্দোজা চৌধুরী যদি চান শেখ হাসিনা আবার প্রধানমন্ত্রী থাকুক, আর তার সন্তান মাহী বি চৌধুরী সংসদে আসুক তাহলে বাংলাদেশের মানুষের তাকে আর দরকার নেই।

সোমবার দুপুরে রাজধানীর মতিঝিলে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ঐক্যফ্রন্টে যোগদানের ঘোষণা অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

কাদের সিদ্দিকী বলেন, দীর্ঘ দিন ধরে বি. চৌধুরী ও ড. কামাল হোসেনকে নিয়ে একটি জাতীয় ঐক্য গঠন করার চেষ্ঠা করেছিলাম। কিন্ত শেষ পর্যন্ত বি চৌধুরী আসেননি।

তিনি বলেন, ৩রা নভেম্বর আমদের অনুষ্ঠানে বি চৌধুরীকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলাম কিন্তু কামাল হোসেন আসবেন বলে তিনি আসেননি। এই জন্য আমি দুঃখ প্রকাশ করি না। নভেম্বরে আসনেনি ডিসেম্বরে নিশ্চয়ই আসবেন সেই প্রত্যাশা করি।

কাদের সিদ্দিকী বলেন, তার (বি. চৌধুরী) ইচ্ছা যদি হয় শেখ হাসিনা আবার প্রধানমন্ত্রী থাকুক, তার সন্তান মাহী বি চৌধূরী সংসদে আসুক তাহলে তাকে বাংলাদেশের মানুষের কোনো প্রয়োজন নাই। দেশের মানুষের প্রয়োজন মুক্তি। গ্রহণযোগ ও বিশ্বাস যোগ্য একটি নির্বাচন চাই।

আজ এই মুহূর্ত থেকে আমি ঘোষণা করছি। ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে যোগ দিচ্ছি।

তিনি বলেন, আমরা সমস্ত মেধা ও শক্তি দিয়ে ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে কাজ করব। আইনী সহায়তা দিবেন ড. কামাল হোসেন। আর আমরা মাঠে লড়াই করব। টিক্কা খানের সঙ্গে যদি আমরা জিততে পারি, তাহলে আজকের এই স্বৈরাচারের বিরুদ্ধেও আমরা জিততে পারব ইনশাআল্লাহ।

১৯৯৯ সালে ২৪ ডিসেম্বর কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের জন্ম হয়। তখন থেকে দেশের সুস্ঠু সামাজিক অবস্থা ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করে যাচ্ছি। মতিঝিলের রাস্তায় তাবু ফেলে আসরা ৬৫ দিন কাটিয়ে ছিলাম। যোখানে প্রধান মনত্রীয় কাছে দাবি ছিল আলোচনায় বসেন দেশকে বাঁচান। অনেক দিন পড়ে হলেও প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দেশের বিরোধী দলের সঙ্গে আলোচনা করেছন এজন্য আমি তাকে ধন্যবাদ জানাই।

তিনি বলেন, তখন আমি বিরোধী দলীয় নেত্রী খালেদা জিয়াকে বলেছি আপনি হরতাল প্রত্যাহার করুন। বিএনপি অবরোধ ও হরতাল প্রত্যাহার করার সুযোগ পায়নি। দেশের মানুষ অবরোধ এবং হরতাল প্রত্যাহার করে নিয়েছে। আজকে তেমনি আমার মনে হয় প্রধানমন্ত্রী যে মুহূর্তে আলোচনায় বসেছে এই মুহূর্তে দেশের মধ্যে কিছূটা হলেও পরিবর্তন হয়েছে। আওয়ামী লীগের নেতারা যেখানে সংলাপে বসতে চাইতো না। সেখানে কিছুটা হলেও সমঝোতার ভাষায় কথা বলতে শুরু করেছেন।

এর আগে কাদের সিদ্দিকী কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের শীর্ষ নেতাদের নিয়ে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন। ক্ষুদ্র পরিসরে জাতীয় ঐক্যের নেতাদের সঙ্গেও আলোচনা করেন।

প্রধামন্ত্রীর উদ্দেশ্যে জেএসডির সভাপতি আসম আবদুর রব বলেন, যদি সুষ্ঠু নির্বাচন নির্বাচন করতে চান তাহলে আমাদের দাবি মানতে হবে। আর যদি দেশকে সংকটের মধ্যে ফেলে দিতে চান তাহলে এর দায় সরকারকে নিতে হবে। ছলচাতুরি করে রেহাই পাবেন না।

কাদের সিদ্দিকীকে অভিনন্দন জানিয়ে গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসীন মন্টু বলেন, বিগত দেশের সংকটময় মুহূর্তে দেশেকে যেভাবে নেতৃত্ব দিয়েছেন। আজকে দেশের সংকটে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেবেন বলে আশা করি।

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু ও নাসরিন কাদের সিদ্দিকীও বঙ্গবীরকে অভিনন্দন জানিয়ে বক্তব্য দেন। গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন জোটে বিএনপি, নাগরিক ঐক্য, জেএসডি আগে থেকেই রয়েছে।

ঘোষণা অনুষ্ঠানে যোগ দেন বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহান, কার্যকরী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী, প্রেসিডিয়াম সদস্য জগলুল হায়দার আফ্রিক, ঐক্যফ্রন্টের নেতা আ অ ম শফিক উল্লাহ, ডাকসুর সাবেক ভিপি সুলতান মোহাম্মদ মনসুর প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সহ-সভাপতি নাসিরন কাদের সিদ্দিকী, সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান বীর প্রতীক, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক প্রিন্সিপাল ইকবাল সিদ্দিকী উপস্থিত ছিলেন।

(জাস্ট নিউজ/জিএস/২০০০ঘ)