ড. কামাল হোসেনের কাছে ‘মাফ’ চেয়েছে পুলিশ: মান্না

ড. কামাল হোসেনের কাছে ‘মাফ’ চেয়েছে পুলিশ: মান্না

ঢাকা, ২৬ ডিসেম্বর (জাস্ট নিউজ) : বাংলাদেশের সংবিধান প্রণেতা, গণফোরামের সভাপতি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেনের কাছে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা গিয়ে ‘মাফ’ চেয়েছেন বলে জানিয়েছেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক ও ঐক্যফ্রন্ট নেতা মাহমুদুর রহমান মান্না। তিনি বলেন, পুলিশ একটু একটু করে ভালো হচ্ছে বোধ হয়। বুধবার দুপুরে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ড. কামাল হোসেনের কাছে দেখা করতে তার অফিস গিয়েছিলো। আমরা ভাবলাম তাকে হয় তো গ্রেফতার করতে গেছে। পরে খবর পেলাম তারা গিয়ে ড. কামাল হোসেনের কাছে মাফ চেয়েছেন।

বুধবার বিকালে বগুড়ায় এক নির্বাচনী পথসভায় মাহমুদুর রহমান মান্না এসব কথা বলেন।

নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি নির্বাচনের নামে দেশের মানুষের সঙ্গে একটা ফোরটোয়েন্টি করা হয়েছিল। ফুটবল খেলা ফাইনাল। এক টিম আছে, আরেক টিম নেই। যে টিম আছে সে টিম বলে আমরাই চ্যাম্পিয়ন, আমরাই জিতেছি। ২০১৪ এ রকম একটা ভোট ছিল। এবারো তারা মনে করেছিল, ওই রকম একটা খেলা হবে যাতে বিএনপি বা বিরোধীদল থাকবে না। আমরা একাই থাকব। একাই জিতব। আবার পাঁচ বছর ক্ষমতায় থাকব। লুটপাট করব আর বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারের অভ্যান্তরে পিষে মারব। এইবারে তা হবে না। এইবারে মাঠ খালি থাকবে না। এইবারে আমরা খেলায় নামব, খেলব। দেখতে চাই এই সরকারের খেলার কত বড় জোর আছে। সারাদেশের মানুষ আমাদের সমর্থন করছে। তখন ওরা ভয় পেয়ে মানুষের মধ্যে ভয় সৃষ্টি করতে পুলিশ লেলিয়ে দিয়েছে, গ্রেফতার করো। প্রতিদিন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করে।

পুলিশের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘পুলিশ ভাইদেরকে বলি মেহেরবানী করে ভালো হয়ে যান। পুলিশ একটু একটু করে ভালো হচ্ছে বোধ হয়। আজকে দুপুরে পুলিশ ড. কামাল হোসেনের কাছে দেখা করতে তার অফিস গেছে। আমরা ভাবলাম তাকে হয়তো গ্রেপ্তার করতে গেছে। পাঁচ-সাতটা ট্রাক অফিসার গেছে এসপি লেভেলের চার-পাঁচজন। পরে খবর পেলাম তারা গিয়ে ড. কামাল হোসেনের কাছে মাফ চেয়েছেন। আর ড. কামাল পুলিশকে বলেছে তোমরা পুলিশের লোক। আমাদের ছেলের মতো, আমাদের ভাইয়ের মতো। মানুষের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করো, কেউ তোমাদের কিছু বলবে না।’

তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের সঙ্গে খেলা হবে। তাদের বলতে চাই আসিতেছে শুভ দিন। দিনে দিনে তিন দিন। সবাই ভোট দিতে যাবেন। একলা একলা না, বাড়িতে, পাড়ায়, কুটুম্ব যারা আছে সবাইকে নিয়ে ভোট দিতে যাবেন।’

(জাস্ট নিউজ/একে/১৭৫৪ঘ.)