আ'লীগের পক্ষে কাজ করছে বিজিবি কর্মকর্তা: বিএনপি প্রার্থী

আ'লীগের পক্ষে কাজ করছে বিজিবি কর্মকর্তা: বিএনপি প্রার্থী

সিলেট, ২৮ ডিসেম্বর (জাস্ট নিউজ): সিলেটে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) দায়িত্বে থাকা লে. কর্নেল শাহ আলম আওয়ামী লীগ প্রার্থীর পক্ষে প্রকাশ্যে কাজ করছেন বলে অভিযোগ করেছেন সিলেট-১ আসনের ধানের শীষের প্রার্থী খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির।

বৃহস্পতিবার রাত পৌণে ৯টায় নিজ বাসভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।

দিনভর তার গণসংযোগ ও কার্যালয়ে তল্লাশী চালিয়ে প্রায় ২৫ জন নেতাকর্মী ও সমর্থককে গ্রেফতার করা হয়েছে জানিয়ে সংবাদ সম্মেলনে খন্দকার মুক্তাদির বলেন, ‘এতদিন শুধু পুলিশকে দিয়ে করানো হত, এখন এই তাণ্ডবে নতুন যোগ হয়েছে বিজিবি।

আমরা খবর পেয়েছি বিজিবি’র সিলেটে যিনি দায়িত্বে (লে. কর্নেল শাহ আলম) আছেন, তিনি প্রকাশ্যে আওয়ামী লীগের পক্ষে বক্তব্য রাখছেন। এ সরকারকে আবার ক্ষমতায় আনার জন্যে উনি প্রকাশ্যে কথাবার্তা চালিয়ে যাচ্ছেন। তার নেতৃত্বে গত দু’দিন ধরে আমাদের নেতাকর্মীদের বাসাবাড়িতে গিয়ে বিজিবি-পুলিশ অভিযান চালিয়েছে। উনি পুলিশের কাছে তালিকা চেয়ে সেই অনুযায়ী বিজিবি পাঠাচ্ছেন।

তিনি বলেন, ভোটাদের আতংকিত করে ভোট দেয়া থেকে বিরত রাখার চেষ্টা করছে। ৩০ তারিখকে সামনে রেখে তারা অত্যান্ত নার্ভাস। তারা জানে তাদের ভোট নেই। সুতরাং তারা যদি কোনোভাবে মানুষকে আতঙ্কিত করে ভোট কেন্দ্রে আসা থেকে বিরত রাখতে পারে, যে ভোটগুলি কাষ্ট হবে না সেগুলো তারা জালিয়াতি করে কাষ্ট করে নিজেদের মতো একটি ফলাফল ঘোষণা করতে চায়।

ভোটারদের উদ্দেশ্যে মুক্তাদির বলেন, আপনারা সাহস করে বের হয়ে আসুন। ভোট দিন। ৩০ তারিখ শেষ বিকালে ইনশাআল্লাহ বাংলাদেশ হাসবে। যাকে খুশি ভোট দিন, আমাকেই দিতে হবে এমন নয়। তবুও ভোট দিন। গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনুন, আপনাদের মালিকানা প্রতিষ্ঠা করুন।

ভয়কে জয় করে ৩০ তারিখ সকাল সকাল মা-বোন নিয়ে কেন্দ্রে এসে ভোট দিন। প্রতিটি ভোট কাষ্ট করুন। গণজোয়ার সৃষ্টি করলে কোনো জালিমের সাহস নেই আপনাদের মোকাবেলা করার।

জনাকীর্ণ ওই সংবাদ সম্মেলনে খন্দকার মুক্তাদিরের পাশে ছিলেন সিলেট মহানগর বিএনপির সহসভাপতি সামিয়া বেগম চৌধুরী, দফতর সম্পাদক রেজাউল করিম আলো, মহানগর মহিলা দলের সভাপতি জাহানারা ইয়াসমিন, জেলা মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক আমেনা বেগম রুমি, মহানগর মহিলা দলের যুগ্ম সম্পাদক ফাতেমা জামান রুজি।

এসময় খন্দকার মুক্তাদির আরো বলেন, নেতাকর্মী ও সমর্থকদের অবাধে গ্রেফতার করা হচ্ছেন। প্রতিরাতে আমাদের নেতাকর্মীদের বাসায় বাসায় পুলিশ তল্লাশির নামে হানা দিচ্ছে। কাউকে না পেলে তার মা-বাবাকে হুমকি দিয়ে আসছে।

তিনি অভিযোগ করেন, গত কয়েকদিনে কয়েকশ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গত কয়েকদিনে ১২টিরও বেশি ‘গায়েবি মামলা’ করা হয়েছে।

খন্দকার মুক্তাদির বলেন, সিলেটের ইতিহাসে এই প্রথম আমার নির্বাচনী কার্যালয়ে অভিযান চালানো হলো। যা অতীতে কেউ দেখেনি।

এই সরকারের জনসমর্থন এখন শুন্যের কোঠায়, তারা জানে ভোটাররা ভোট দিলে তারা জিততে পারবেন না। তাই বিভিন্ন অপকৌশল নেয়া হচ্ছে, আর এতে প্রশাসনকে ব্যবহার করা হচ্ছে।

(জাস্ট নিউজ/একে/০১২৫ঘ.)