সাতক্ষীরা জেলা আ’লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক অবরুদ্ধ

সাতক্ষীরা জেলা আ’লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক অবরুদ্ধ

সাতক্ষীরার তালায় উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় ভোটের মাধ্যমে উপজেলা পরিষদের প্রার্থী চূড়ান্ত করার দাবিতে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মনসুর আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক মো: নজরুল ইসলাম অবরুদ্ধ হয়ে আছেন।

স্থানীয় আওয়ামী লীগের একাংশের নেতাকর্মীরা শনিবার দুপুর দেড়টা থেকে তাদের অবরুদ্ধ করে রেখেছেন।

জানা গেছে, আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তালায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী চূড়ান্তে শনিবার সকাল ১০টায় তালা শিল্পকলা একাডেমি হলরুমে উপজেলা আওয়ামী লীগের বিশেষ বর্ধিত সভার আহবান করা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন তালা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ নূরুল ইসলাম। সভা পরিচালনা করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ঘোষ সনৎ কুমার। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক এমপি মনসুর আহমেদ এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মো: নজরুল ইসলাম। এতে তালা উপজেলা কমিটিসহ ১২টি ইউনিয়ন এবং ১০৮টি ওয়ার্ড কমিটির সভাপতি ও সম্পাদক অংশগ্রহণ করেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সভায় আওয়ামী লীগের একাংশ প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে গোপন ব্যালটের মাধ্যমে ভোটের পক্ষে অবস্থান নেয়। কিন্তু কয়েকজন প্রার্থী ও তাদের কর্মী-সমর্থকেরা ভোটের বিরুদ্ধে অবস্থান নেন। এনিয়ে চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মনসুর আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক মো. নজরুল ইসলাম দুপুর দেড়টার দিকে সভা কক্ষ ছেড়ে নিজ নিজ গাড়িতে চড়ে সভাস্থান ত্যাগ করার চেষ্টা করেন। এ সময় একাংশের নেতাকর্মীরা তাদের গাড়ির সামনে শুয়ে পড়েন এবং তাদের অবরুদ্ধ করে ফেলেন। অবরুদ্ধকারীরা গোপন ব্যালটের মাধ্যমে উপজেলা চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচনের দাবিতে স্লোগান দিতে থাকেন।

এ রিপোর্ট লেখা সময় বিকাল পর্যন্ত তারা সেখানে অবরুদ্ধ অবস্থায় ছিলেন।

এ ব্যাপারে সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম বলেন, বর্ধিত সভায় এক গ্রুপ চায় ভোটের মাধ্যমে উপজেলা প্রার্থী চূড়ান্ত করতে, আরেক গ্রুপ চায় ভোট ছাড়াই আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে প্রার্থীতা চূড়ান্ত করতে। আমরা বলেছিলাম সাতক্ষীরায় ফিরে দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে এ ব্যাপারে পরবর্তী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবো। কিন্তু আমরা সভাস্থল থেকে গাড়িতে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে যে পক্ষ ভোট চায় তাদের সমর্থকেরা গাড়ির চারপাশ ঘিরে ফেলে।

তিনি বলেন, দুপুর দেড়টা থেকে আমরা অবরুদ্ধ আছি। বেলা সাড়ে ৩টা পর্যন্তও সেখানে আমরা অবরুদ্ধ। পুলিশ থাকলেও তারা অনেকখানি নিশ্চুপ ভূমিকা পালন করছে।

একে/