মেরে ফেলার উদ্দেশে সরকার খালেদা জিয়ার চিকিৎসা করছে না : সেলিমা রহমান

মেরে ফেলার উদ্দেশে সরকার খালেদা জিয়ার চিকিৎসা করছে না : সেলিমা রহমান

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম সেলিমা রহমান অভিযোগ করেছেন, তিলে তিলে মেরে ফেলার উদ্দেশ্যে অসুস্থ বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে সরকার চিকিৎসা করছে না। তিনি বলেন, আমরা দেখেছি এক এগারোতে মঈন উদ্দিন-ফখরুদ্দীন সরকার তারেক রহমানকে ছাদ থেকে ফেলে দিয়ে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। কারণ তিনি প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের সন্তান এবং তিনি তৃণমূলের জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন।

তিনি আরো বলেন, সেই সময় দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে তারা কারারুদ্ধ করেছিল। তিনি সে সময় আপস করেননি। তিনি মামলা চালিয়েছেন, সেই সরকার তাকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়েছিলেন। কিন্তু আজকে যিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তিনি কিন্তু সেই সময়ের সেনা-সমর্থিত সরকারের সাথে আপস করেছিলেন। তাদের সাথে ষড়যন্ত্র করে কিভাবে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করা যায় সেই চিন্তায় তিনি তখন কাজ করেছেন। তিনি এক দলীয় শাসন ব্যবস্থা কায়েম করার জন্য, বাকশাল করার জন্য দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক চক্রান্তের মধ্য দিয়ে আজকে তিনি ক্ষমতায় বসে পরিচালনা করছেন।

মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে জাতীয়তাবাদী নবীন দল আয়োজিত প্রতিবাদ সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

সেলিমা বলেন, বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা, যিনি স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন সেই জিয়াউর রহমানের এক অপূরণীয় তারা ষড়যন্ত্র করতে থামছে না। আজকে তাদের ষড়যন্ত্র সমগ্র বাংলাদেশকে নিয়ে। আজকে এখানে যে প্রতিবাদ সভাটা হচ্ছে এটা শুধু এখানেই নয়। আমরা শুধু যদি কান পাতি তবে শুনতে পাবো সারা বাংলাদেশের মানুষের প্রতিদ্বন্দ্বী একটাই প্রতিবাদ সংবাদ উচ্চারিত হচ্ছে- দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিতে হবে।

তিনি বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া জামিন পেলেও এই সরকার তাকে মুক্তি পেতে দিচ্ছেন না। তারা জানে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেয়া হলে, তিনি বাইরে থাকলে যে জনতার ঢল হবে তাতে গণবিস্ফোরণের মধ্য দিয়ে বর্তমান সরকারের এই অবৈধ সিংহাসন এক মিনিটে তলিয়ে যাবে।

সেলিমা রহমান বলেন, বিএনপি কখনো হতাশ নয়। বিএনপির যুদ্ধ করতে জানে। আপনারা দেখছেন, গত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমাদের প্রার্থীরা জনগণকে সাথে নিয়ে এই সরকারের বিরুদ্ধে মিটিং মিছিল করেছে। সেখানে এই সরকারের লোকজন তাদের উপর একের পর এক হামলা করে আমাদের প্রার্থীদের আহত করেছে, নেতাকর্মীদের জেলে পাঠিয়েছে, হাজার হাজার সাধারণ জনগণকে তারা কারাগারে পাঠিয়েছে। কিন্তু আমরা জানি জনগণের মনের ভাষা তারা কোনোদিন ছিনিয়ে নিতে পারবে না।

তিনি বলেন, আমরা আমাদের আন্দোলনে আছি। নির্বাচন একটি আন্দোলন গেছে এখন আমরা সংগঠিত হচ্ছি। তোমাদের কোন স্পেস নেই, বাইরের সভা-সমাবেশ করতে পারি না। তারপরে আমাদের নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল করছে। আপনারা দেখেছেন আমরা যখনই আন্দোলনের কথা বলি তখনই বর্তমান সরকারের টনক নড়ে ওঠে, তাদের মন্ত্রা আবোল তাবোল বলতে থাকে।

বিএনপির এই নীতিনির্ধারক বলেন, সমস্ত গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ধ্বংস হয়ে গেছে। যেখানে মধ্যরাত্রে নির্বাচন হয় সেখানে নির্বাচনের আর কোন ব্যবস্থা থাকে না, গণতন্ত্র বলতে কিছু থাকে না। আজকে দেশের এই পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য দরকার গণতন্ত্রের মা বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি।

সভায় আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, বিএনপি সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম প্রমুখ।

এমজে/