খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে না পারাটা দুর্ভাগ্য: মির্জা আলমগীর

খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে না পারাটা দুর্ভাগ্য: মির্জা আলমগীর

অসুস্থ বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে আন্দোলনের মাধ্যমে মুক্ত করতে না পারাকে দুর্ভাগ্য বলে উল্লেখ করেছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, আইন আদালতের ভূমিকা কি সেটা আমরা জেনে গেছি। আমাদের দুর্ভাগ্য, আমরা এমন কিছু করতে পারছি না যে, নেত্রীকে আন্দোলনের মধ্যদিয়ে মুক্ত করতে পারবো।

শুক্রবার দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচতলায় মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে বিএনপির মহাসচিব এসব কথা বলেন। বিএনপির কারাবন্দি চেয়ারপারসনের ৭৫তম জন্মদিন উপলক্ষ্যে এবং তার কারামুক্তি, রোগমুক্তি ও দীর্ঘায়ু কামনা করে এ দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।

দলীয় নেতা-কর্মীদের মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদের সুসংগঠিত হয়ে আন্দোলনের মাধ্যমে দেশনেত্রীকে মুক্ত করতে হবে। এর কোনো বিকল্প নেই। আসুন এই দিনে তার দীর্ঘায়ু কামনা করে তার মুক্তির জন্য নিজেদের সংগঠিত করি ও আন্দোলন বেগবান করি।
তার জন্মদিনে এটাই হোক আমাদের শপথ।

তিনি বলেন, সরকার পরিকল্পিতভাবে চামড়া শিল্পকে ধ্বংস করেছে। এক সময় পাট শিল্পকে ধ্বংস করা হয়েছিল আর আজকে চামড়া শিল্পকে ধ্বংস করা হয়েছে। বাংলাদেশকে পরনির্ভরশীল করার সুদূরপ্রসারী ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত এই সরকার বহুদূর এগিয়ে নিয়ে গেছে।

গণতান্ত্রিক সব প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে দাবি করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করা হয়েছে বিচার বিভাগের। আজকে বিচার বিভাগের কোনো স্বাধীনতা নেই। এই অনির্বাচিত-জনবিচ্ছিন্ন সরকার বিচার বিভাগকে ব্যবহার করে এদেশের রাজনৈতিক কর্মীদের ওপর নিপীড়ন-নির্যাতন চালাচ্ছে। একইভাবে দেশনেত্রীকেও কারাগারে রেখেছে।

এ সময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, নজরুল ইসলাম খান, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান প্রফেসর ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, শওকত মাহমুদ, নিতাই রায় চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম-মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, হাবিব-উন নবী খান হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, যুবদলের সভাপতি সাইফুল আলম নীরব, যুবদল উত্তরের সাধারণ সম্পাদক এসএম জাহাঙ্গীর, তাঁতীদলের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, শ্রমিকদলের সভাপতি আনোয়ার হোসেইন, মহিলাদলের সাবেক সভাপতি নুরী আরা সাফা, সাবেক সাধারণ সম্পাদক শিরিন সুলতানা, স্বেচ্ছাসেবকদলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদির ভূঁইয়া জুয়েল, ছাত্রদলের সাবেক দপ্তর সম্পাদক আবদুস সাত্তার পাটোয়ারী প্রমুখ। দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন ওলামাদলের নেতা মাওলানা রফিকুল ইসলাম।

এমআই