ভাঁওতাবাজির সরকার চাই না, আমি প্রতিবাদ করতে চাই: মান্না

ভাঁওতাবাজির সরকার চাই না, আমি প্রতিবাদ করতে চাই: মান্না

বর্তমান সরকারকে ভাঁওতাবাজ ও প্রতারক আখ্যা দিয়েছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা এবং নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না।

তিনি বলেছেন, আমি এ সরকার, এ নির্বাচন চাই না। কারণ এ সরকার আমার ভোট কেড়ে নিয়েছে। এ সরকার আমার অধিকার কেড়ে নিয়েছে। জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করেছে। এ সরকার উন্নয়নের নামে ভাঁওতাবাজি করছে। এ সরকার পণ্যের দাম বাড়িয়ে নিজেরা লুটপাটের রাজত্ব কায়েম করছে। আমি এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে চাই।

মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আদর্শ নাগরিক আন্দোলন আয়োজিত অবস্থান কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন বাতিল, প্রধান নির্বাচন কমিশনারের পদত্যাগ ও নতুন নির্বাচনের দাবিতে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।

উন্নয়নের নামে দেশের মানুষকে বোকা বানানোর চেষ্টা করছে সরকার এমন মন্তব্য করে মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, এ দেশের মানুষের এখন এমন অবস্থা হয়েছে যে, মানুষ পেঁয়াজ, আদা, লবণ, তেল কিনতে দাম নিয়ে চিন্তা করতে হয়। সরকার টেলিভিশনে পদ্মা সেতুর স্প্যান দেখিয়ে বলে ব্যাপক উন্নয়ন হচ্ছে। আমার পেটে খিদের আগুন, আমার জীবন ওষ্ঠাগত। ওনারা শুধু পদ্মা সেতু আর ফ্লাইওভার দেখান। মনে হয় আমরা ফ্লাইওভার খেয়ে বেঁচে থাকব। এত বড় প্রতারণার রাজনীতি গত ৪৯ বছরে আমরা দেখিনি।

ক্ষমতাসীনদের বিরুদ্ধে বিদেশে টাকা পাচারের অভিযোগ তুলে নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক বলেন, এখন প্রতিদিন খবরের কাগজে ছাপা হচ্ছে কত লাখ কোটি টাকা বিদেশে পাচার হয়েছে। কই কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে?

মানুষের দুর্বিষহ অবস্থার সমালোচনা করে মান্না বলেন, দুর্নীতি হয় ব্যাংকে, ব্যাংকগুলো নিঃস্ব। দুর্নীতি হয়েছে শেয়ারবাজারে। শেয়ারবাজারের মানুষ গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। আমাকে বলেন তো, সামরিক বাহিনী কী করবে? সামরিক বাহিনীকে বলেন, এই যে ইব্রাহিম খালেদের রিপোর্ট। এই যে লাখ লাখ কোটি টাকা চুরি করেছে। শেয়ারবাজার ধ্বংস করেছে। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে।

আদর্শ নাগরিক আন্দোলনের সভাপতি মাহমুদুল হাসানের সভাপতিত্বে কর্মসূচিতে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মোহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, জাগপার প্রেসিডিয়াম সদস্য আসাদুর রহমান খান, কৃষক দল নেতা লায়ন মিয়া মোহাম্মদ আনোয়ার, কেএম রকিবুল হাসান রিপন, জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ।

এমজে/