খালেদা জিয়ার জীবন নিয়ে শঙ্কা পরিবারের, মুক্তি দাবি

খালেদা জিয়ার জীবন নিয়ে শঙ্কা পরিবারের, মুক্তি দাবি

কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে দেখে এসে তার শারীরিক অবস্থা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করলেন তার বোন সেলিনা ইসলাম।

শনিবার বিএসএমএমইউতে বোনকে দেখার পর তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “তাকে জীবিত অবস্থায় আমরা এখান থেকে নিয়ে যেতে পারব কি না, সেটাই আমাদের শঙ্কা।”

দুর্নীতির দুই মামলায় দণ্ড নিয়ে দুই বছর ধরে বন্দি বেগম খালেদা জিয়া এক বছর ধরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসাধীন।

৭৬ বছর বয়সী বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে তার মুক্তি দাবি করে আসছে বিএনপি।

শনিবার সেলিমাও বলেন, “উনার (বেগম খালেদা জিয়া) শরীর আগের মতোনই। কালকে (শুক্রবার) রাতে তার পিঠে প্রচণ্ড ব্যথা হচ্ছিল, শ্বাসকষ্ট হচ্ছিল, শ্বাস নিতে পারছিল না।

“তার বাম হাত সম্পূর্ণ বেঁকে গেছে, ডান হাতও বেঁকে যাচ্ছে। সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারছে না, খেতে পারছে না। খেলে বমি হয়ে যাচ্ছে। তার শরীর খুবই খারাপ।”

“তার যা শরীরের অবস্থা, মানবিক কারণে তো তার মুক্তি দেওয়া উচিৎ। আমরা চাচ্ছি, সরকার মানবিক দিক বিবেচনা করে অন্তত উনাকে মুক্তি দিক,” বলেন সেলিমা।

বিএনপি বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি চাইলেও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নেতাদের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, প্যারোলে মুক্তি চাইলে বিএনপি চেয়ারপারসনকে আনুষ্ঠানিক আবেদন জানাতে হবে।

বিএনপির পক্ষ থেকে তাদের নেত্রীর জামিনে মুক্তির দাবি তোলা হচ্ছে। এক্ষেত্রে ক্ষমতাসীনদের বক্তব্য, এটা আদালতের বিষয়, এক্ষেত্রে সরকারের কিছু করার নেই।

বেগম খালেদা জিয়ার জামিনের আবেদন এক সপ্তাহ আগে খারিজ করে দেয় উচ্চ আদালত।

তবে বেগম খালেদা জিয়া মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শ অনুযায়ী ‘অ্যাডভানসড ট্রিটমেন্ট’ নিতে সম্মতি দিলে, দ্রুত তার উন্নত চিকিৎসা শুরু করতে নির্দেশ দেয় আদালত।

কিন্তু বেগম খালেদা জিয়া মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শ অনুযায়ী ‘অ্যাডভানসড ট্রিটমেন্ট’ নিতে সম্মতি দেননি বলে আদালতকে জানায় বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষ।

আদালতের সেই আদেশের পর শনিবারই প্রথম স্বজনদের দেখা পেলেন খালেদা।

সেজ বোন সেলিমা ইসলামের সঙ্গে তার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার, শামীমের স্ত্রী কানিজ ফাতেমা, ছেলে অভিক ইস্কান্দার এবং সেলিমার মেয়ে সামিয়া ইস্কান্দার গিয়েছিলেন বেগম খালেদা জিয়াকে দেখতে।

সোয়া এক ঘণ্টা সাক্ষাতের পর অপেক্ষমান সাংবাদিকদের কাছে বোনের শারীরিক অবস্থা তুলে ধরেন সেলিমা।