ত্রাণের টাকাও মেরে খাচ্ছে সরকারের লোকেরা: রিজভী আহমেদ

ত্রাণের টাকাও মেরে খাচ্ছে সরকারের লোকেরা: রিজভী আহমেদ

সরকারের লোকেরা আড়াই হাজার টাকা থেকে ৫০০ টাকা রেখে দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ। তিনি বলেন, শেখ হাসিনা ঘোষণা দিয়েছেন ৫০ লাখ মানুষকে আড়াই হাজার টাকা করে দেবেন। আড়াই হাজার টাকা থেকে সরকারের লোকেরা ৫০০ টাকা রেখে দিচ্ছে। এটা কি ভন্ডামি নয়? গরীব মানুষের সাথে প্রতারণা নয়? এরকম পরিস্থিতিতে এদেশের গরীব, অসহায়, কর্মহীন মানুষদের দিনযাপন করতে হচ্ছে।

শনিবার দুপুরে রাজধানীর জয় কালী মন্দির কাপ্তান বাজার এলাকায় বিএনপি নেতা হামিদুর রহমান হাবিব এর উদ্যোগে ত্রাণ বিতরণের সময় তিনি এসব কথা বলেন।

রিজভী বলেন, এই সরকার সংকট সমাধান করে না সংকট সৃষ্টি করে। সংকট সমাধান করলে ত্রাণ লুটপাট হতো না। করোনা ভাইরাস মহামারী আকার ধারণ করতে পারত না। লকডাউন শিথিল করে সারাদেশে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে দিতে সুযোগ সৃষ্টি করে দিয়েছে সরকার। প্রতিদিন হাজারের বেশি লোক আক্রান্ত হচ্ছে।আগে প্রতিরোধ করার ব্যবস্থা ছিল সরকার তা করেনি। সরকার করোনাভাইরাস মোকাবেলায় সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, করোনা আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে কোন ব্যবস্থা নেই। ৯০পার্সেন্ট হাসপাতালে অক্সিজেন সিলিন্ডার নেই। মানুষ মরে যায় উনি দেখান ফ্লাইওভার। মানুষের চিকিৎসা নেই উনি দেখান ফ্লাইওভার। মানুষের লাশের ওপর দিয়ে উন্নয়ন করে। মানুষের জীবন নিয়ে জুয়া খেলেন। এটাকে দেখান উন্নয়ন হচ্ছে।

ত্রাণ বিতরণের সময় বিএনপি´র সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে প্রত্যেক জায়গায় আমাদের সামর্থ্য অনুযায়ী পাড়ায় পাড়ায়, মহল্লায় মহল্লায় ত্রাণ বিতরণ অব্যাহত রয়েছে। আমাদেরকে সরকারের ত্রাণ দেওয়া হয় না। আমাদের পকেটের টাকা দিয়ে খাদ্য সামগ্রী কিনে অসহায় মানুষদের মধ্যে বিতরণ করছি। আর সরকারের ত্রাণ গরিব মানুষ পাচ্ছে না। সরকারের ত্রাণ চলে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ নেতা, তাদের দলীয় চেয়ারম্যান মেম্বারদের বাড়িতে।অপরদিকে আমরা যখন প্রাণ দিতে যাচ্ছি তখন আমাদের নেতা কর্মীদের গুম করা হচ্ছে। মিথ্যা মামলা দিয়ে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। তারপর আমরা বসে নেই। আমরা মানুষের পাশে আছি।