স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী কর্মসূচির উদ্বোধন

এবারের যুদ্ধ, স্বাধীনতা রক্ষার যুদ্ধ: তারেক রহমান

এবারের যুদ্ধ, স্বাধীনতা রক্ষার যুদ্ধ: তারেক রহমান

স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপনে বছরব্যাপী কর্মসূচির উদ্বোধন করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তারেক রহমান বলেন, "বীর মুক্তিযোদ্ধারা ৫০ বছর আগে মুক্তিযুদ্ধ করে বাংলাদেশ স্বাধীন করেছিলেন। লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত সেই দেশটির সার্বভৌমত্ব এখন ভুলুন্ঠিত, হুমকির মুখে। তাই, এবারের যুদ্ধ, স্বাধীনতা রক্ষার যুদ্ধ। এবারের যুদ্ধ, মানুষের স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠার যুদ্ধ। এই যুদ্ধের অঙ্গীকার, দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও।"

সোমবার ঢাকায় হোটেল লেকশো'রে সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন জাতীয় কমিটি আয়োজিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন কমিটির আহবায়ক ও বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ডক্টর খন্দকার মোশাররফ হোসেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে নেয়া এইসব বিশেষ কর্মসূচি ২০২১ সালের ২৬ মার্চ পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে।



অনুষ্ঠানে তারেক রহমান বলেন, "স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীর দিন গণনা শুরু হলো। একটি জাতির জীবনে একটি দেশের স্বাধীনতাই সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি। এই প্রাপ্তির সঙ্গে আর কোনো অপ্রাপ্তির তুলনা চলেনা। স্বাধীন বাংলাদেশের জন্যই আজ আমাদের গর্বিত পরিচয় 'আমরা বাংলাদেশী'। তবে বাংলাদেশের সুবর্ণ জয়ন্তীর এই সময়ে জনমনে এখন একটাই জিজ্ঞাসা, লাখো প্রাণের বিনিময়ে জনগণ একটি স্বাধীন মাতৃভূমি পেলেও স্বাধীন দেশের নাগরিকরা কেন আজ নিজভূমে পরাধীন?"

তারেক রহমান বলেন, "স্বাধীন বাংলাদেশ ৫০ বছরে পা রেখেছে। তাই মূল্যায়ন করার সময় এসেছে, এই সময়কালে বাংলাদেশ কতটা অর্জন করেছে, আরো কতটা অর্জন করা যেত, কেন অর্জন করা যায়নি, কিংবা, কাদের জন্য অর্জন করা যায়নি।"

তিনি আরো বলেন, "আমাদের মুক্তিযুদ্ধের মূলমন্ত্র ছিল সাম্য-মানবিক মর্যাদা-সামাজিক সুবিচার। স্বাধীন বাংলাদেশের মানুষ এমন একটি রাষ্ট্র ও সরকার চেয়েছিলো, যেটি হবে 'গভর্নমেন্ট অফ দ্য পিপল, বাই দ্য পিপল,ফর দ্য পিপল' । অথচ আজকের বাস্তবতা হচ্ছে, দেশের ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখা সরকারটি এখন দেশে বিদেশে পরিচিত, 'গভর্নমেন্ট অফ দ্য মাফিয়া, বাই দ্য মাফিয়া, ফর দ্য মাফিয়া' ।"

সুবর্ণ জয়ন্তীর কার্যক্রমের মধ্য দিয়ে বর্তমান ও আগামী প্রজন্মের সামনে দেশের বিরাজমান পরিস্থিতি সর্বতোভাবে তুলে ধরার আহবান জানিয়ে তারেক রহমান বলেন, বের করে আনা প্রয়োজন অতীত ও বর্তমানের অনেক প্রশ্নের জবাব।

তারেক রহমান বলেন, "দেশের স্বার্থে সবাইকে জেনে রাখা দরকার, কারা ১৯৭৪ সালে বিশ্বে বাংলাদেশকে 'বটম লেস বাস্কেটে'র পরিচিতি দিয়েছিলো, ২০০১ সালে বাংলাদেশকে বিশ্বে দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন বানিয়ে কারা ক্ষমতা থেকে বিদায় নিয়েছিল এবং বর্তমানে কারা দেশটিকে মাফিয়া রাষ্ট্রে পরিণত করলো?"

তিনি প্রশ্ন করে বলেন, "গত একদশকে কারা দেশ থেকে নয় লক্ষ কোটি টাকা পাচার করে দিলো? বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ ফান্ডের আটশো দশ কোটি টাকা কারা - কিভাবে লোপাট করলো? কারা দেশটাকে খুন-গুম-অপহরণ-ধর্ষণের নিরাপদ ভূমিতে পরিণত করলো? কারা গণতন্ত্র হত্যা করে দেশে একদলীয় কুখ্যাত বাকশাল কায়েম করেছিল? বর্বর রক্ষীবাহিনীর গুম-খুন-অপহরণ-ধর্ষণের বিচার বন্ধে সংবিধানে কারা প্রথম ইনডেমনিটি দিয়েছিলো? মুক্তিযুদ্ধকালীন বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমেদকে কেন স্বাধীন দেশের মন্ত্রীসভায় থাকতে দেয়া হলোনা? দেশের মর্যাদার পক্ষে কথা বলার কারণে আবরারকে যারা হত্যা করেছে, স্বাধীন দেশে জন্ম নেয়া এই নরপিচাশদের মগজ ধোলাই করলো কারা? সীমান্তে হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ জানাতে কেন বাংলাদেশের এতো ভয়?"

তিনি আরো বলেন, "এমন অনেক প্রশ্নের জবাবের মধ্যেই নিহিত, আজ কোন পথে বাংলাদেশ? কেন পথ হারিয়েছে বাংলাদেশ।"

তারেক রহমান বলেন, "৭৫ এর ৭ নভেম্বরের পরাজিত অপশক্তি মহাজোটের নামে একজোট হয়ে দেশের রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে রয়েছে। তাদের একটাই টার্গেট, দেশপ্রেমিক জাতীয়তাবাদী শক্তি এবং দেশের সেনাবাহিনীকে দুর্বল করে রাখা। এদের সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্রেই ২০০৯ সালে বিডিআর পিলখানায় সেনা হত্যাযজ্ঞ ঘটে। স্বাধীন বাংলাদেশে সেনা হত্যাযজ্ঞের দিনটি কেন জাতীয় শোক দিবস হিসেবে পালন করতে এতো দ্বিধা?"

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, "জাতীয়তাবাদী শক্তিকে দুর্বল করতেই এই অপশক্তির ষড়যন্ত্রের শিকার দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। ৭৫ এর ৭ নভেম্বরের পরাজিত এই অপশক্তি বিএনপি সম্পর্কে অব্যাহত অপপ্রচার চালাচ্ছে। মিথ্যাচার করছে স্বাধীনতার ঘোষক সম্পর্কে। স্বাধীনতার ঘোষক সম্পর্কে মিথ্যাচার করে তারা নিজেরাই নিজেদের প্রশ্নবিদ্ধ করছে।কারণ, বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের ওপর গত ৫০ বছরে অসংখ্য বইপত্র লেখা হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধে প্রত্যক্ষভাবে অংশ নিয়েছেন, নেতৃত্ব দিয়েছেন কিংবা ছিলেন প্রত্যক্ষদর্শী, মুক্তিযুদ্ধের পর সেইসব মানুষদের লেখা ইতিহাসে নানাভাবে তথ্যপ্রমাণসহ উপস্থাপিত হয়েছে জিয়াউর রহমান, বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষক।"

তারেক রহমান বলেন, "একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের জন্মের সঙ্গে জিয়াউর রহমান নামটি আষ্ঠেপৃষ্ঠে জড়ানো। যিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েনিজেই ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন, যিনি স্বাধীনতার মহান ঘোষক হিসেবে জায়গা করে নিয়েছেন জনগণের হৃদয়ে, মানুষের বিশ্বাসে-ভালোবাসায়, জনমনে শহীদ জিয়ার এই গৌরবজনক অবস্থান শহীদ জিয়ার জীবনে সর্বশ্রেষ্ঠ অর্জন।"

জিয়াউর রহমান সম্পর্কে মিথ্যাচারকারীদের সতর্ক করে দিয়ে তারেক রহমান বলেন, "বিএনপির বক্তব্য স্পষ্ট, বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে জিয়াউর রহমানের ভূমিকা ও অবদান মীমাংসিত। জনগণের হৃদয়ে স্বাধীনতার ঘোষকের অবস্থান নির্ধারিত। ফলে এখন কেউ যদি হামলা-মামলা কিংবা বন্দুকের ভয় দেখিয়ে অথবা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার অপব্যবহার করে নতুন ইতিহাস নির্মাণের পথ রচনা করতে চায়, এ পথটি ভবিষ্যতের ইতিহাসে তাদের জন্যই বিপদসংকুল হয়ে উঠতে পারে। একটি খারাপ দৃষ্টান্ত হিসেবে উপস্থাপিত হতে পারে।"

স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের ঐতিহাসিক তথ্যগুলোর পাশাপাশি স্বাধীনতার ৫০ বছরে বিএনপির অর্জন কিংবা সাফল্যগুলোও নতুন প্রজন্মের সামনে তুলে ধরার জন্যও সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন কমিটি প্রতি তারেক রহমান আহবান জানান।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, "এই স্বাধীনতা কোনো ব্যক্তি বা দলের নয়। এই স্বাধীনতা এদেশে যারা সোনালী ফসল ফলায়, যারা পণ্য উৎপাদন করে, যারা শ্রম দিয়ে অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করে তাদের সকলের। বিদেশী প্রবাসী শ্রমিক ভাইয়ের, গার্মেন্টসে কর্মরত মা-বোনের, ক্ষেতে রৌদে পোঁড়া-বৃষ্টিতে ভেজা কৃষকের, ছাত্র-যুবক সকল পেশাজীবীর। আসুন এই পঞ্চাশ বছর পরে আমরা নতুন করে শপথ নেই- ১৯৭১ সালের সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নের। যা আমাদের একটি উদার গণতান্ত্রিক, সমৃদ্ধ বাংলাদেশ নির্মাণের পথে এগিয়ে নিয়ে যাবে, এগিয়ে নিয়ে যাবে অন্ধকার থেকে আলোর জগতে।"

তিনি বলেন, "এই স্বাধীনতা আমাদের জনগনের স্বপ্নের ফসল। আমরা যখন সূবর্ণ জয়ন্তী পালন করছি শুধুমাত্র রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের খেতাব বাতিলের চক্রান্ত চলছে। বর্তমানে অনির্বাচিত কর্তৃত্ববাদী স্বৈরাচারী সরকার এই চক্রান্ত করছে। স্বাধীনতার চেতনা আজকে ভুলন্ঠিত। একদলীয় শাসনব্যবস্থা গণতন্ত্রের ভুয়া মোড়কে প্রতিষ্ঠার চেষ্টা চলছে। ভোটার বিহীন নির্বাচন। নির্বাচনের আগের রাতে ভোট ডাকাতির মাধ্যমে পার্লামেন্ট ও সরকার গঠন। আমাদের স্বাধীনতার সকল আশাগুলো ভেঙে খান খান করেছে দিয়েছে এই সরকার।"

অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক আশরাফ উদ্দিন উজ্জ্বলের পরিচালনায় দলের শিল্পীরা দলীয় সঙ্গীত, ক্যারিওগ্রাফীর মাধ্যমে স্বাধীনতার সূবর্ণ জয়ন্তীর ‘থিম সং’ এবং শিল্পী রেখা সুফিয়ানা, ইথুন বাবু এবং যুক্তরাষ্ট্র থেকে অনলাইনে যুক্ত হয়ে বেবী নাজনীন দেশাত্মবোধক গান পরিবেশ করেন।

অনুষ্ঠানে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ওপর প্রামাণ্য চিত্র উপস্থাপন করা হয়।

স্বাধীনতার সূবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন জাতীয় কমিটির আহবায়ক খন্দকার মোশাররফ হোসেনের সভাপতিত্বে সদস্য সচিব আবদুস সালামের পরিচালনায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, দলের ভাইস চেয়ারম্যান শাহজাহান ওমর বীরোত্তম, হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বীর বিক্রম, জাতীয় পাটির্ (কাজী জাফর) মোস্তফা জামাল হায়দার, কল্যাণ পার্টির সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহি বীর প্রতীক বক্তব্য রাখেন।

বর্ণাঢ্য এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গণস্বাস্থ্য সংস্থার ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, বিএনপির আবদুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, আবদুল্লাহ আল নোমান, আলতাফ হোসেন চৌধুরী, বরকত উল্লাহ বুলু, রুহুল আলম চৌধুরী, জয়নাল আবেদীন, এজেডএম জাহিদ হোসেন, আহমেদ আজম খান, নিতাই রায় চৌধুরী, আমান উল্লাহ আমান, জয়নুল আবদীন ফারুক, উকিল আব্দুস সাত্তার, ভিপি জয়নাল আবেদীন, আবদুল কাইয়ুম, শাহিদা রফিক, আব্দুল কুদ্দুস, মামুন আহমেদ, সিরাজ উদ্দিন আহমেদ, তাহসিনা রুশদীর লুনা, বিজন কান্তি সরকার, সুকোমল বড়ুয়া, এনামুল হক চৌধুরী, খন্দকার মুক্তাদির, মজিবুর রহমান সারোয়ার, মাহবুবউদ্দিন খোকন, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন, খায়রুল কবির খোকন, শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, আসাদুজ্জামান রিপন, ফজলুল হক মিলন, শ্যামা ওবায়েদ, বিলকিস জাহান শিরিন, জহিরউদ্দিন স্বপন, নাজিম উদ্দিন আলম, শিরিন সুলতানা, নাসের রহমান, ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন, খন্দকার মারুফ হোসেন, প্রচার ও মিডিয়া কমিটির শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, শহিদুল ইসলাম বাবুল, সেলিমুজ্জামান সেলিম, আমিরুজ্জামান খান শিমুল, আমিরুল ইসলাম আলীম, মীর হেলালউদ্দিন, আতিকুর রহমান রুমন, শায়রুল কবির খান, মাহমুদা হাবিবাসহ দলের কেন্দ্রীয় ও অঙ্গসংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

২০ দলীয় জোটের নেতাদের মধ্যে মোস্তফা জামাল হায়দার, সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, রেদোয়ান আহমেদ, আহমেদ আবদুল কাদের, ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, খন্দকার লুতফুর রহমান, সাইফুউদ্দিন মনি, সাহাদাত হোসেন সেলিম, আজহারুল ইসলাম, সৈয়দ এহসানুল হুদা, আবু তাহের শেখ জুলফিকার বুলবুল চৌধুরী, মুফতি মহিউদ্দিন ইকরাম, ফারুক রহমান, মোস্তফিজুর রহমান মোস্তফাসহ শরিক দলের নেতারাও ছিলেন।

অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, অষ্ট্রেলিয়া, নরওয়ে, সুইজারল্যান্ড, নেদারল্যান্ড, তুরস্ক, জাপান, জাতিসংঘ, ইউএসএইড, আন্তর্জাতিক রেড ক্রিসেন্টসহ বিভিন্ন দেশের কুটনীতিকরা উপস্থিত ছিলেন।